।। *মনির উদ্দিন মনি* ।।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আগামী দিনগুলো সাধারণ মানুষের জন্য কঠিনতম হয়ে উঠতে পারে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগামীতা ও এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার সাফল্য হালে কৃতিত্ব ও মর্যাদা কে ম্লান করে দিতেও পারে। সরকারের ভিতরে রাজনীতি বিদ ও আমলাদের মাঝে সমন্বয়হীনতা খুব প্রকট বলে এমন পরিস্হিতির ভিতরে দেশ এগিয়ে চলছে। রাজধানী ঢাকার ওপেন মার্কেট সেলের দোকান ও ট্রাক গুলো তে ভোর থেকেই গণমানুষের লাইন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। আগে নিম্ন বিত্তদের এখানে বেশি দেখা মিলত। কিন্তু এখন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত একাকার। লজ্জা শরম ত্যাগ করে স্বল্প মূল্যে খাবার ক্রয়ের সন্ধানে এ লাইন এখন তাদেরও নিত্য সঙ্গী।
সরকারের ভিতরে ও বাহিরে অনেক লুটেরা রাজনীতিবিদ আছেন যারা সরকারের ভাবমূর্তির
কোন তোয়াক্কা করেন না। সব সময় নিজের আখের গোছানো কেই প্রাধান্য দিয়ে চলেছেন। নৈতিকতা বলে যে কিছু আছে সেটাও তাদের চরিত্রে দেখা যায় না। খুব শক্তিশালী একটি মনিটরিং টিম যদি স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী গোপনীয়তা রক্ষা করে সাহসিকতার সাথে এর নেতৃত্ব নিজের হাতে নিতে পারেন তবেই জাতি এ সংকটময় সময় কে অতিবাহিত করে উন্নয়নের ধারা কে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
চাটুকারিতা ও মোসাহেবী দের দাপটে ভালো ভালো নেতাদেরও অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। দলের ত্যাগস্বীকার করা নেতা ও অনেক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ কর্মীরাও প্রথম শ্রেনীর নেতাদের কাছে কোন আনুকূল্য পাচ্ছেন না। এহেন পরিস্থিতি তে অনেকেই অভিমান করে দলের অনেক কর্মসূচীও এড়িয়ে চলছেন। যেটা দলের জন্য সুদূরপ্রসারী ক্ষতির কারণ হতে পারে। সবকিছু দেখভাল করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সৎ নেতাদের দিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি করা যেতে পারে, যাদের সুপারিশ সর্বোচ্চ মহলে বিবেচিত হবে।
বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের নেতাদের সুনেতৃত্ব দেশের রাজনৈতিক পরিস্হিতি স্হিতিশীল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার সময় এখন। সরকারের ভিতরে কতিপয় দুষ্টু লোকের অপরিপক্ক হস্তক্ষেপ বিরোধীদের আন্দোলন কে বেগবান করতে আরো সহযোগিতা করে থাকে। দমন পীড়ন কখনো কোন শান্তির ও স্হিতির বার্তা বয়ে আনে না। এটা পরিক্ষীত ইতিহাস। যত বেশি কঠোরতা ও শক্তি প্রয়োগ করে ন্যায্য আন্দোলন কে দমানোর চেষ্টা করা হবে ততো আন্দোলন ও অশান্তির পরিবেশ তীব্রতা পেতে থাকবে। এখানেও সরকারি দলের সুব্যবস্হাপনা ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উপর জোর দিতে হবে। রাজনৈতিক সংকট ও পরিস্হিতি কে রাজনৈতিক বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা দিয়েই সমাধান করতে হবে।
দেশের বিরাজমান সংকট চিহ্নিত করে ক্রমান্বয়ে তা দ্রুত সমাধান করার জরুরি উদ্যোগ নিয়ে সরকার তার অর্জিত সুনাম ধরে রাখতে না পারলে এটাকে সাধারণ জণসাধারণ বা দেশবাসী সরকারের ব্যর্থতা বলেই ধরে নিবে। প্রয়োজনে মনে করলে সরকার বর্তমান ব্যর্থ ও অথর্ব মন্ত্রীদের সরিয়ে সততার পরীক্ষায় পরিক্ষীত কতিপয় নতুন ব্যক্তিদের দিয়ে কিছু মন্ত্রী কে সরিয়ে তাদের স্হলাভিষক্ত করে দিতে পারেন। যারা সরকারের অনেক ক্ষেত্রে হারানো ইমেজ কে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে আনবে। এমন নিবেদিত লোক এখনো খুজলে পাওয়া যাবে। পরিষ্কার ইমেজ যাদের আছে একমাত্র তাদের কেই যথাযথ স্হানে নিয়োগ দিতে পারলে দেশবাসী সানন্দে সরকার কে বাহবা দিবে ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে।
সঠিক ও সুনেতৃত্ব এখন সময়ের দাবী। দেশের মানুষ স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরের ঐতিহ্য কে ধরে রাখতে স্হিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ চায়। শান্তিতে বসবাস করার অধিকার চায়, সহনীয় বাজার ব্যবস্হাপনা চায়, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার মাঝে দিনাতিপাত করতে চায়।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply