ঐশ্বর্য সরোয়ার অপূর্ব, জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরেরে শূন্য পদ পূরনের লক্ষ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন বাংলাদেশী নাগরিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বেতন গ্রেড এবং সাধারণ শর্তাবলি আবেদন ফর্ম পূরণের বিস্তারিত নিয়মাবলিসহ আবেদন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে গত ০৯ মে ২০২৩ তারিখে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৬ ক্যাটাগরিতে ৬৭ টি জন নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আলোচনার মাধ্যমে বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায় সার্ভিস রুলস বডির আলোচনায় ১০ টি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো কিন্তু এখন তা ২৬ টি পদে পরিণত হয়েছে।
যার মধ্যে ১ নং ক্যাটাগরিতে অফিস সেক্রেটারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর / কম্পিউটার অপারেটর পেদে ১৬ জন ১১ গ্রেডে এবং অনুরুপ ১৭ নং ক্যাটাগরিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে ১৬ গ্রেডে ২ জনকে ও ২৫ নং ক্যাটাগরিতে অফিস সহায়ক (এম.এল.এস.এস) পেদে ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।
১ নং ও ১৭ নং ক্যাটাগরিতে গ্রেড ভিন্ন হলেও প্রায় সমান যোগ্যতায় আবেদনের আহ্বান করা হয়েছে যা নিয়ে রয়েছে অনেক দ্বিধা।
নিয়োগের কোনো বিজ্ঞাপন বা পদন্নোতির কোনো বিশেষ ক্ষেত্র না দেখিয়েই পূর্বে তথা ২০১৪ সালে যখন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ভিসি ছিলেন, তিনি নিজস্ব ক্ষমতায়নে ২২ জন দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক নিয়োজিত অফিস সহকারীদের থেকে পছন্দের ভিন্ন ভিন্ন ৬ জনকে কোনো ক্রম অনুসরণ না করেই পদোন্নতি দেন।
তবে এখন এই ১৬ জনের নিয়োগে জেষ্ঠ্যতার ক্রম দেখালে উক্ত ছয় জনই যদি স্থান পায় তবে বহুদিন ধরে কর্মরত অনেকেরই চাকরি স্থায়ী না হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ পাচ্ছে।
পরিবহন পুলে ড্রাইভারের চাহিদার কথা তোয়াক্কাতেই নেই। পদ শূন্য হওয়ায় ১ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ আছে। তবে কেবল ১৬ জন ড্রাইভার এর স্থায়ী চাকরি থাকায় বাকিদের অসন্তোষ আর পরিবহনে ঘাটতির কমতি নেই।
এ বিষয়ে পরিবহন পুলের পরিচালক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, পরিবহনে এখন চাহিদা অনেক। বাসের সংখ্যা যেমন বেশী, তেমনি রুটও বেড়েছে। আমি আসার পর নতুন চারটি রুট বেড়েছে, সবিধা বেড়েছে। কিন্তু ড্রাইভার পদে নিয়োগ না থাকায় আমি হিমশিম খাচ্ছি রোজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে একজন ওয়ারডেন, ২ জন নার্স ও একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের কথা বিজ্ঞপ্তিতে আছে।
তবে এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডা: মো: রাকিব হোসেন খান আবির এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে ১৯ জন সদস্য থাকার কথা থাকলেও কেবল ৭ জন সদস্য নিয়ে চলছে মেডিকেল সেন্টার। নিয়োগে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যে একজনের কথা আসছে, সেখানে কর্মরত একজন আছে যার চাকরী স্থায়ী হতে পারে। “
বড় রকমের আলোচনার মুখে এসেছে কুক পদে ইউজিসি কর্তৃক সর্বশেষ ২০ গ্রেডে চাকুরী পাওয়ার কথা জানা গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১ জন ১৮ গ্রেডে এবং অন্যজনকে ২০ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হবে তা জানা গেছে। তবে এর পেছনে নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিশেষ কোনো সুবিধা আছে কিনা তা জানা যায় নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ইউজিসি থেকে আমরা যে কয়টি পদ পেয়েছি তা ই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে। অফিস সহকারী পদে বা কম্পিউটার অপারেটর পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি অনেকদিন ধরে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মরত কেউ থাকে তবে জেষ্ঠ্যতার ক্রম অনুসারে তাকেই স্থায়ী করা হবে। কুক পদে নিয়ে যে দ্বন্দ্ব এটা কিছুই না।ইউজিসি থেকে বলা হয়েছে উপাচার্যের জন্য ১৮ গ্রেডে এবং কোষাধ্যক্ষের জন্য ২০ গ্রেডে নিয়োগ হবে। আমরা তাই করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনেক এর মধ্যে যেগুলো পেয়েছি সেগুলোই প্রকাশ করা হয়েছে শূন্য পদে লোকবল নিয়োগের চিন্তা করে।
এ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার ভিসির কক্ষে অবস্থান করছিলেন এবং একমত পোষণ করে জবাব দেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply