ঐশ্বর্য সরোয়ার অপূর্ব , জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেইটের পাশে জমতে দেখা যায় রোজকার ময়লার স্তুপ। যা এখন ভাগারে পরিনত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের সব ময়লা নিয়ে এখন স্তুপ করা হয় সেখানে। যথা সময়ে অপসারণ না করায় আর কোনো বিধি নিষেধ না দেওয়ায় সেখানে এখন দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ বিল্ডিং এর কাজ করা সময় দ্বিতীয় গেইটের পাশে সরঞ্জাম রাখার জন্য ও কর্মীদের থাকার জন্য যে ঘর বানানো ছিলো তা ভেঙে ফেলার পর সে স্থানে বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা হয়। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও কোনো কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায় না সেখানে।
বরং খালি জায়গা একপাশে ধীরে ধীরে ময়লা ফেলা শুরু হয়। এ বিষয়ে বের কিছু বার আপত্তি জানালেও বন্ধ হয় নি ময়লা ফেলা।
এ বিষয়ে একাউন্টিং বিভাগের ১৪ ব্যাচের ফাহিমুল রহমান ফাহিম অভিযোগ করে জানায়, “এখানে খালি জায়গাটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজ না থাকলেও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখাটা তো জরুরি। কিন্তু এখানে ময়না জমে তা পরিনত হয়েছে ভাগারে। সকালে বাস থেকে নেমে ক্যাম্পাসে ঢুকতে হয় দুর্গন্ধ শুকে শুকে,যা খুবই অস্বস্তিকর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও অনুষদের নানা আবর্জনা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, ওয়ানটাইম প্যাকেট, নানা প্লাস্টিক বর্জ্য সহ সন ময়লা জমানো হয় সেখানে।
ময়লা ফেলতে আসা ঝাড়ুদারকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ে তো জায়গা নির্দিষ্ট করা নাই। ময়লা ফেলার জন্য কোনো জায়গাও ঠিক করে দেওয়া নাই। আমরা আগে বাংলাবাজার ফুটওভার ব্রিজের নিচে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতাম। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে সেই ডাস্টবিনটি সরিয়ে নেয়। তাই আমরা এখন ময়লা ফলার জায়গা না পেয়ে সেখানে ময়না জমাই।”
এসব ময়লা এখান থেকে অপসারণ করার বিষয়ে সে বলে,”বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে সিটি করপোরেশনের একটি ভেন এসে ময়লা নিয়ে যায়। তবে সেটা মাঝে মধ্যে। তাই ময়লা জমে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়।”
এ বিষয়ে পরিচ্ছন্নতা কমিটি আহ্বায়ক ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়লা নেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশন এর গাড়ি আসে। কিন্তু মাঝে সিটি করপোরেশন থেকে ময়লা নেওয়ার জন্য ইজারা পেয়েছে বলে কিছু লোকজন আসে। তারা কাগজপত্র জমা দিয়ে ময়লা নিবে জানায়। কিন্তু বাসা বাড়িতে ১০০ টাকা করে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত নিবে তা তাদের নথিতে লেখা ছিলো না। যা আলোচনার মাধ্যমে জানানোর কথা। এরপর এক মাস ময়লা নেওয়ার পর তারা এক লক্ষ টাকার বেশী টাকা চেয়ে বিল দেয়। যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহনযোগ্য নয়। এ কারণে এখন সিটি করপোরেশন এ ময়লা নিচ্ছে না আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ময়লায় ভরে গেছে।”
এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিবেন জানতে চাইলে তিনি জানান,”আমরা সিটি করপোরেশন এর কাছে রেজিস্ট্রার এর মাধ্যমে পোর্টেবল ডাস্টবিন দেওয়ার জন্য চিঠি পাটাবো। আর এভাবে যেন খোলা অবস্থায় ময়লা ফেলা না হয় সে ব্যবস্থাও করবো।”
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply