Somoy News BD

২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

ইবি ছাত্রলীগের একই পদে দুই নেতা দাবিদার, কে সে সিরাজুল?

ইবি প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১০ মে রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পান ক্যাম্পাসের ৭১ জন নেতা। তবে এর বাইরেও একটি সহসভাপতি পদের দাবিদার একই নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ব্যক্তি। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে শোরগোল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৬ নং সহ-সভাপতি পদে রয়েছে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামের এক নেতার নাম। তবে এই পদটি নিজের বলে দাবী একই নামের দুইজন ব্যক্তির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নেতা বলে দাবির পাশাপাশি কর্মীরাও জানিয়েছেন উভয়কেই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

সহ-সভাপতি দাবিদারদের একজন হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী  সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। অপরজন হলেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম।

পদের দাবিদার বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমার নাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। যে পদ দাবি করছে তার নামের সাথে পদের মিল নাই। পূর্বে হল পোস্টে আমার নাম আর নাম্বার দেওয়া আছে। জয় ভাই আমাকে আমার পদ বলে নিশ্চিত করেছেন। সক্রিয় কর্মী হিসেবে সবাই আমাকে চিনে এবং জানে। অন্য একজন কেন পদ দাবি করছে বুঝতেছি না।

সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শাখা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি ভাইয়ের কর্মী। উনি আমাকে আমার পদের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। আরেকজন যিনি পদ দাবি করছেন আমার জানামতে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। তাহলে ২৪ সালে এসে কিভাবে কমিটিতে পদ পায় তা আমারও প্রশ্ন।

শাখা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আমাদের কারো সাথে আলোচনা বা সমন্বয় না করেই পছন্দমত কমিটি জমা দেওয়ায় আমরাও আমাদের কর্মীদের মূল্যায়নের স্বার্থে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রে জমা দেই। আমি যে সিরাজুলের নাম দিয়েছি, বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ওর নামের পাশে নিকনেম হিসেবে সিরাজ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটাও যে আরেকজনের সাথে মিলে যাবে তা আমি বুঝতে পারি নাই।

তিনি আরো বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারি যার কথা বলছে সে ক্যাম্পাসে থাকেও না, রাজনীতিতেও সক্রিয় নয়। শেষ কবে এসে মিছিল মিটিং করেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা প্রয়োজন। যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে, এই বিভ্রান্তি তারাই দূর করতে পারবে। আমরা তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এছাড়াও, রাতে সিএসই বিভাগের সহ-সভাপতি দাবীদার সিরাজের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার সময়ও তার নিকট থেকে ফোন নিয়ে তিনি একই কথা পুনরায় বলেন।

৬৬ নং সহ-সভাপতি পদটি বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বলে নিশ্চিত করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এখানে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি। সভাপতি সেক্রেটারির বাইরে যেয়ে কেন্দ্রে কারো নাম প্রস্তাব করার কোন সুযোগ নেই। যার সাথে যার সম্পর্ক ভালো তার কাছে হয়তো সুপারিশ বা অনুরোধ করতে পারে কিন্তু কমিটি প্রস্তাবনার এখতিয়ার একমাত্র আমাদের।

পদপ্রাপ্ত সিরাজের রাজনীতিতে সক্রিয়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে জয় বলেন, যে পদ পেয়েছে সে ক্যাম্পাসে আছে, পড়াশোনা করছে। সবাই তো সব সময় ক্যাম্পাসে থাকে না, পারিবারিক কারণে বাসায়ও যায়। কে কি বললো সেসবের চেয়ে এতদিন পর সর্বজন গৃহীত একটা সুন্দর কমিটি হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সহসভাপতি পদটি মূলত বায়োটেকনোলজি বিভাগের যে সিরাজের। ওর পদটা শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী দিয়েছে। নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ না থাকায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পদধারী প্রত্যেকের জন্য চিঠি পাঠাবো। আসন্ন অনুষদ ও হল কমিটিতে প্রয়োজনবোধে নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ রাখবো।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ইবি ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে তো আমরা চিনি না। ওই পদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভালো বলতে পারবে।

শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনির বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটিতে নাম প্রস্তাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউ ই প্রস্তাবনা দিতে পারেন যে এই নামে একটি ছেলে আছে, সে ভালো কি মন্দ, তাকে কমিটিতে রাখা যায় কিনা। নাম প্রস্তাব দেওয়া আর কমিটিতে রাখা তো এক কথা নয়। যেখানে সভাপতি, সেক্রেটারি আছে সেখানে ১ নাম্বার সহ-সভাপতি কে? যেকোন বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলবেন।

Related Articles

আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

মোঃ আল-শাহরিয়ার বাবুল খানঃ  আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও চিকিৎসাধীন সকলের সুস্থতা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র রোগ মুক্তি

আরও পড়ুন

আশুলিয়ায় সিনিয়াটেক্সের এমডির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ প্রতিনিধি, আশুলিয়াঃ ১কোটি ১০লক্ষ টাকা পাওনা আদায়ের দাবিতে সিনিয়াটেক্স এর এমডি রবিউল ইসলাম বেলালের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শম্পা বেগমের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার(১৯সেপ্টম্বর) বিকেলে

আরও পড়ুন

বৈষম্যহীন বক্সিং ফেডারেশন গঠন ও সংস্কারের দাবি

মঞ্জুর: ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৈষম্যহীন বক্সিং ফেডারেশন গঠন এবং সংস্কার আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইসতিয়াক

আরও পড়ুন

আইসিটি সেক্টরে দুর্নীতি দুরীকরণে সংস্কার এজেন্ডা

মঞ্জুর:আইসিটি সেক্টরে দুর্নীতি শুধু আর্থিক ক্ষতিই করেনি, বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। তহবিলগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা এবং তাদের অভিপ্রেত লক্ষ্যে পোঁছানো নিশ্চিত করতে এই সমস্যাগুলির

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও