Somoy News BD

১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

কাতার বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়নের আশ্বাস দিল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশের সাথে সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এলএনজি সরবরাহ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন এবং বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠার প্রযুক্তিগত বিষয়ে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে কাতার।

কাতারের প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সামিট-এর sidelines-এ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন।

কাবি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করতে চাই এবং তা অব্যাহত রাখব।”*

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাস-এর সাথে সরকার থেকে সরকার (G2G) প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ১৫ বছরের জন্য বছরে ১.৫ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন  এলএনজি আমদানির চুক্তি (এলএনজি এসপিএ) স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ বর্তমানে বছরে  ৪০টি কার্গো** আমদানি করছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

সম্প্রতি জানুয়ারিতে এলএনজি এসপিএ সংক্রান্ত এমওইউর মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাতারি কর্তৃপক্ষ চুক্তি নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কাতারের মন্ত্রী বলেন, *”আমরা শিগগিরই এমওইউ সই করব।”* তিনি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন এবং এলএনজির দাম কমে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কারণ কাতার তাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস কাতারি মন্ত্রীকে বলেন যে, বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় নিজস্ব জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌজুল কবির খান। তিনি জানান, বাংলাদেশ মাতারবাড়ি, কক্সবাজার এলাকায় পাইপলাইনসহ একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, কাতার থেকে এলএনজি কার্গো আমদানির সংখ্যা বাড়ানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের এলএনজি টার্মিনালগুলোতে বছরে ১১৫টি কার্গো হ্যান্ডেল করার সক্ষমতা রয়েছে।

কাতারি মন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশে ইউরিয়া সারের সরবরাহ বাড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি বিষয়ক সচিব লামিয়া মোরশেদ ও জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। 

Related Articles

ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ – উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক  মহোৎসব

মঞ্জুর: মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক মহোৎসব উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুল হাসান প্রেসিডেন্ট অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব

আরও পড়ুন

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত

মো:আশরাফুল আলমঃজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল

আরও পড়ুন

গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও জেলীযুক্ত চিংড়ি উদ্ধারসহ আটক ৩১০ জন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর:ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিক্স অ্যান্ড অর্থোটিক্স (আইএসপিও)-বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman