কুবি প্রতিনিধি:
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মশাল হাতে বিক্ষোভ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন দক্ষিন মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে আবার ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করে শহীদ মিনারে এসে তাদের মশাল মিছিল শেষ হয়।
এসময় তারা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই, গরীব দুঃখির বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই, মেধা না কোটা মেধা মেধা, সারা বাংলা খবর দে কোটা প্রথার কবর দে, গর্জে উঠো আরেকবার একাত্তরের হাতিয়ার, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে বলে স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলন সমন্বয়কারীদের একজন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের এতো বছর পরে কোটা প্রথাটা বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫৮টি কোটার প্রচলন রয়েছে আমরা সবগুলো কোটার বিলুপ চাই শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী এবং উপজাতি কোটা ছাড়া।এটা শুধু আমাদের দাবি না সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের দাবি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা আক্তার নীড়া বলেন, ‘আমি একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে কোটা বিরোধী আন্দোলনে দাড়িয়েছি। নারী হিসেবে আমি কোন কোটা চাই না আমি আমার মেধা দিয়ে আমার যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে চাই। কোটা প্রথার ফলে দেখা যায় যোগ্য ব্যাক্তিরাও চাকরি পাচ্ছে না। আমরা চাই প্রকৃত মেধাবীরা যাচাই হোক। নারী শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই নারীদের জন্য যে কোটা রয়েছে সেই কোটাও যেনো না থাকে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চার দাবি জানিয়ে তিন ঘন্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ ছাড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো – ২০১৮-এর পরিপত্র পুনঃবহাল করতে হবে, প্রতিবন্ধী ও উপজাতী কোটা ছাড়া ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণীর সকল চাকরীতে সকল প্রকার কোট বাতিল করতে হবে, অতিবিলম্বে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের দাবিগুলো জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠাতে হবে।