Somoy News BD

১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা এবং অনলাইন পরিবেশগত ছাড়পত্র সার্টিফিকেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ, বায়ু মান মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সরকার জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটি কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন এবং শিল্প, পরিবহন ও নগরায়ণে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির প্রসারে একটি পথনকশা হিসেবে কাজ করবে।

আজ ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের বৃহত্তর কৌশলের একটি অংশ, যা গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের উদ্বেগজনক দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে। পরিচ্ছন্ন বায়ুর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে সরকার পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে এই কর্মপরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠন, একাডেমিয়া এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় জাতীয় নীতিতে বায়ু মান ব্যবস্থাপনা সংযোজন, উন্নত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।

আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে অন্য একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার অটোমেশন করার লক্ষ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ ট্রান্সফরমেশন অভ দ্যা এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রসেস শীর্ষক নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন সফটওয়্যার প্রবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র প্রক্রিয়ার স্মার্ট পরিবর্তন আনছে। এতে ছাড়পত্র/নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

তিনি বলেন, অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড ও ছাড়পত্র গ্রহণের সুবিধা থাকবে। উদ্যোক্তারা আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি অনলাইনে দেখতে পারবেন। অনলাইনে ফি প্রদান, ছাড়পত্র/নবায়ন ফি, ভ্যাট প্রদান সহজ হবে। এতে বেজা, বিডা, বিসিক, বেপজা, বিএইচটিপিএ-এর অনস্টপ সেবা নিশ্চিত করা যাবে। জাল কাগজপত্র শনাক্তকরণ, ডাটা যাচাই ও ছাড়পত্রের সঠিকতা নিশ্চিত সহজ হবে। সময়, খরচ ও অফিসে যাতায়াত কমবে। হার্ডকপির ব্যবহার কমে যাবে। মনিটরিং সহজ হবে।

এভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি কমবে। ডাটা সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে।

Related Articles

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার আয়োজনে হাটু প্রতিস্থাপন সার্জারি বিষয়ক রোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা আজ একটি পেশেন্ট ফোরামের আয়োজন করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর

আরও পড়ুন

নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযানে ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৪৬,২৬২ কেজি পলিথিন জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা মোতাবেক গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতের

আরও পড়ুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক, ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশি কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত

আরও পড়ুন

নড়াইল ডিবি কর্তৃক ৩৫(পঁয়ত্রিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার -২

মোঃ শরিফুল মোল্লা নড়াইল, জেলা প্রতিনিধিঃ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ শফিকুল ইসলাম(২৬) ও মোঃ এনামুল শেখ(১৯) নামের ০২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও