নিজস্ব প্রতিবেদক : “ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য প্রদান সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং সাক্ষ্য আইন: আমাদের করনীয়” শীর্ষক সেমিনার বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বেইলী রোডে অবস্থিত ‘‘ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’’ এর ছয় তলায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাজমা মোবারেক। উক্ত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ডিজি ডা: এম. এ. পারভেজ রহিম বলেন, ডিএনএ আইন ২০১৪-এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ডিএনএ রিপোর্টেকে সাক্ষ্য Evidence হিসেবে গ্রহন করা যাবে। কিন্তু সাক্ষ্য আইন ৭২ (ক) ও ১৪৬ ধারা অনুযায়ী, ডিএনএ রিপোর্ট ও অন্যান্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্ট সমূহকে উপযুক্ত প্রমান (Evidence) হিসেবে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলা আছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরার জন্য মূল আলোচক, আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোঃ সাইমুম রেজা তালুকদারকে অনুরোধ করেন। মূল আলোচক মোঃ সাইমুম রেজা তালুকদার তার আলোচনায় বলেন, সংবিধানের ১১১ ধারা মতে উচ্চ আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে স্বাক্ষী প্রদানের জন্য ডাকতে পারবে।
সংবিধানের ১১২ ধারা মতে, নিম্ন আদালত এই বিষয়ে উচ্চ আদালতকে সহায়তা করবে। হাইকোর্ট ফৌজদারী মিস মোকদ্দমা নং ২৩৮৩৭/২০২১ এর রায়ে ২১ ও ২২ নাম্বার পয়েন্টে বলেছেন যে, আদালত যদি মনে করে তাহলে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাইতে পারে।
এছাড়াও রায়ে আরো বলা হয়েছে যে, রিপোর্ট প্রস্তুতকারী যদি ডিএনএ রিপোর্টকে পুরোপুরি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে আদালত রিপোর্টটি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ নাও করতে পারে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত চাইলে আরো বেশি তদন্ত করতে পারবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, ডিএনএ আইন-২০১৪ এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ডিএনএ রিপোর্টকে সাক্ষ্য Evidence হিসেবে গ্রহণ করতেই হবে বলে বাধ্যবাধকতা নেই। তাই আদালত চাইলে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাকতে পারে। মূল আলোচনার পরে সভায় উপস্থিত অনেকে বিষেশজ্ঞ মতামত প্রদান করেন।