মঞ্জুরঃ
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির নেতারা সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করেন। পরে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির একাংশ নতুন কমিটি ঘোষণা করে। তবে তাতে সম্মতি দেয়নি চিকিৎসকদের আরেকটি পক্ষ। বিদ্যমান কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন তারা।
করে এবং সাথে সাথেই এই ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে গণতন্ত্রকামী দেশ সেরা চিকিৎসকদের নিয়ে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ডা. ওয়াকিল আহমদ, ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন বিপ্লব ও ডা. তাজুল ইসলাম রবির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে।
তারা বলেন, নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভার দিন প্রত্যাখ্যাত কমিটির নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ডিরেক্টর নিটোর-এর অফিস কক্ষে এবং উভয় কমিটির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয় যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। যদিও সিংহভাগ অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াকিল ডা. বিপ্লব ও ডা. রবি পরিষদের সাথেই ছিলেন। তবু বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এতে সম্মত হই।
তারা আরও বলেন, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওই ক্ষুদ্র গোষ্ঠী পুনরায় আলাপ-আলোচনার তোয়াক্কা না করে এবং ওয়াদা বরখেলাপ করে একটি পরিবর্তিত ও অগ্রহণযোগ্য কমিটি ঘোষণা করে যেখানে ফ্যাসিবাদী চক্রের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। আমরা অর্থোপেডিক চিকিৎসক সমাজের বৃহত্তর অংশের পক্ষ থেকে এই অগণতান্ত্রিক ও বিভ্রান্তিকর কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। একই সাথে ডা. ওয়াকিল, ডা. বিপ্লব, ডা. রবির নেতৃত্বে ১৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করছি।
এ সময় সোসাইটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরে নতুন কমিটির নেতারা। সেগুলো হলো-
জুনিয়র অর্থোপেডিক সার্জনদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; উপজেলা জেলা ও বিভাগীয় শহরে কর্মরত অর্থোপেডিক সার্জনদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা; নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে গণতান্ত্রিক উপায়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা; বিভাগীয় পর্যায়ে অর্থোপেডিক সোসাইটির কমিটি গঠন করা; এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোসাইটিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমুন্নত করা।