Somoy News BD

১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি

মঞ্জুর:

বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন মাদরাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলরুমে, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান বৈষম্য, অনিয়ম ও অসংগতি দূরীকরণের লক্ষ্যে মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, মোঃ মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব মোঃ শান্ত ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা রাজনীতি করেন না, এটি তাদের কাজও নয়। কিন্তু বছরের পর বছর তারা রাজনীতির চাপে পিষ্ট। সরকার আসে, সরকার যায়, কিন্তু শিক্ষকরা অমানবিক কষ্ট, সীমাহীন দুর্ভোগ ও মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পায় না। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তি যেন সোনার হরিণ। তিনি আরও জানান, ২০১৩ সাল থেকে বিএমজিটিএ মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার সাধারণ শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছে।  প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে মানবতাকামী, পরিচ্ছন্ন ও মুক্তিকামী মানুষ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মুক্তিকামী<span;>মানুষ স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে আপনি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সংগঠনটি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি নতুন শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’-এর সংশোধনের বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংগঠনের উপস্থাপিত প্রধান দাবিসমূহ-

• মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।

• বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান।

• সম্মানজনক বাড়ি ভাড়া প্রদান।

• চিকিৎসা ভাতা প্রদান।

• মহার্ঘ ভাতা প্রদান।

• মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার সহকারী শিক্ষকদের ১৬ বছরে অষ্টম গ্রেড প্রদান।

• মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার সকল প্রভাষকদের ১৬ বছরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি।

• ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদান।

• অবসরের তিন মাসের মধ্যে কল্যাণ ও অবসরের ভাতা প্রদান।

• ইএফটি-এর মাধ্যমে যাতায়াত ভাতা প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন, শাহ মোহাম্মদ কবির, তাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি খন্দকার বিল্লাল আহমেদ পলাশ, মো. আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল লতিফ ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাহআলমসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

Related Articles

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮

আরও পড়ুন

আল কুরআন বিরোধী সংবিধান প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষ দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে – আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুরঃ আজ,মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায়, ইসলামী সমাজের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে শান্তিপূর্ণ গণ মিছিল কর্মসূচি পালন করা

আরও পড়ুন

সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ: রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে বন বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২৫: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে

আরও পড়ুন

বাজারে পাটব্যাগ সহজলভ্য করতে উদ্যোগী সরকারঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা,সোমবার, ১৭মার্চ,২০২৫: বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,’ পাট ব্যাগকে সহজলভ্য ও কম মূল্যে বাজারে আনতে চাই। এর সুবিধা

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও