Somoy News BD

২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

সেক্সওয়ার্কারস নেটওয়ার্ক এর ১০ দফা

মঞ্জুর: সেক্সওয়ার্কারস নেটওয়ার্কের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আলেয়া আক্তার লিলি। তিনি বলেন, নৃবিজ্ঞানের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে আদি পেশা হলো যৌনপেশা। যৌনকর্ম, বিভিন্ন রূপে, প্রাচীনকাল থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। পতিতাবৃত্তির প্রতি মনোভাব ইতিহাসের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে নানাভাবে যৌনকর্মীদের মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে, হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন এর শিকার। বর্তমানেও যৌনকর্মীদের শ্রমের উপর নির্ভর করে এই ব্যবসা ছড়িয়ে আছে সারা পৃথিবী জুড়ে এবং চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই পেশার ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সমাজই তার প্রয়োজনে এই পেশার সৃষ্টি করেছে। স্থান ও কালের ব্যবধানে ব্যবসার নিয়ম-নীতি পাল্টেছে, ব্যবসার পরিচালনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে- তবে এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা আজ-ও রয়ে গেছে অবহেলিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত। তিনি বলেন যে, বিগত ২৯ অগাস্ট, ২০২৪ এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি নির্মম ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় একজন যুবক শ্যামলীতে ভাসমান যৌনকর্মীদের উপর নির্বিচারে নির্মম ভাবে লাঠি পেটা করে। শুধু লাঠিপেটা নয় এই ভাসমান যৌনকর্মীদের সাথে থাকা নগদ অর্থ এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ভাইরালকৃত ভিডিওটির কারণে একজন যৌন কর্মীর সন্তান ট্রমাটাইজড হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে, এতে করে সন্তান ও মায়ের সম্পর্কের মাঝে তিতক্তা, টানা-পোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। পত্র-পত্রিকার বদৌলতে জানা যায় যে, বিভিন্ন এলাকায় যৌনকর্মীদের একদল যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যেমন যাত্রাবাড়ী, কোর্ট এলাকায়, শ্যামলী, শহীদ মিনার, মিরপুর মাজার রোড, ফার্মগেট, আসাদগেট, উত্তরা, কুড়িল ও বাড্ডা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন যৌনকর্মীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে করে একাধিক যৌনকর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছে। এ প্রেক্ষিতে আমাদের সুনির্দিস্ট দাবী সমূহ- যৌন কর্মীদের উপর নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যৌন কর্মীদের – নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং দপ্তরের কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে স্থানীয় ভাবে যৌন কমীদের সুরক্ষা দিতে হবে। ব্রথহেল উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। পুলিশ দ্বরা যৌনকর্মীদের উপর আইনের অপপ্রোয়গ বন্ধ করতে হবে। যৌন কর্মীদের সম্মানদের সুস্থ, নির্বিঘ্ন, মূল স্রোতধারার পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে হবে। যৌন কর্মীদের কবরস্থান এর জন্য কোন পার্থক্য করা যাবে না। মূল স্রোত ধারার / সামাজিক ব্যবস্থায় কবরের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যৌন কর্মীদের নির্বিঘ্ন জীবন যাপন এবং সার্বিক নিরাপত্তার প্রতি উপদেষ্টা মন্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যৌন কর্মী নয় বরং মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় নিপীড়ণ এবং শোষণ বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল ধরনের নারী নির্যাতন এবং যৌন হয়রানী বন্ধে আইনের সঠিক বাস্ত্মবায়ন করতে হবে।

Related Articles

লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার তিনি এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক

আরও পড়ুন

বিজিবির জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং সেলাই মেশিন বিতরণ* দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য

আরও পড়ুন

দূষণরোধী অভিযানে ২৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা জরিমানা, ৬৭০ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ব্যাপক দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman