মঞ্জুর আহমেদ: ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর হামলা থেকে রক্ষা পেতে শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী বাদল কর ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী বাদল কর তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক। আমরা বংশ পরিক্রমায় এই দেশে বসবাস করে আসছি। আমার পিতা বিগত ১৯৯৩ সালে পরলোক গমন করেন। আমার পিতা তার জীবন দশায় অর্জিত অর্থদিয়ে আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দারুসসালাম থানাধীন হরিরামপুর এলাকায় আনন্দনগর মৌজায় ৯.৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে রেখে যান।
আমার পিতার পরলোকগমন কালে আমি নাবালক থাকার কারণে এবং আমার মায়ের সাথে গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার মাদবদীতে থাকার কারণে ভোগদখলে যেতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হাজী হানিফ ( হানিফ পরিবহনের মালিক) ১৯৯৫ সালে বর্তমান দখলদারদের বসিয়ে আজ অবধি ভোগ করে আসছে। আমরা হাজি হানিফ কতৃক আমাদের সম্পত্তি জবরদখলের বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন সাংসদ আসলামুল হক সাহেবের শরণাপন্ন হই তিনি আমাদের কে বারবার আশ্বস্ত করলেও ৮/১০ বছরেও বিষয়টি সুরাহা করেন নাই। আমরা বারবার স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিকটও দ্বারস্থ হয়েছি কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় কোনো প্রতিকার পাইনি। পরবর্তীতে অপারগ হয়ে ১ম সহকারী আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করি, মামলা নং- ১২১৩/২১।
মামলার কার্যাদেশ অনুসারে গত ০৪-০৮-২০২২ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এসিল্যান্ড সরজমিনে পরিদর্শনের দিন ধার্য করেন। সেই মোতাবেক আমাদেরকে সরজমিনে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয় কিন্তু এসিল্যান্ড আসতে বিলম্ব হওয়ার সুযোগে বর্তমান দখলদার আব্দুল হাই ও তার পুত্র জিকু এবং আমির খান চিকা বাবু সহ ২৫/৩০ জন ব্যক্তি অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি, আমার ভাই, আমাদের সাথে যাওয়া আত্মীয় স্বজন এলাকার গণ্যমান্য হিন্দু সম্প্রদায়কে লাঞ্চিত করা হয়। এসময় হামলাকারীরা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মহিলাদেরও লাঞ্চিত করে। ঘটনার বিষয়ে এসিল্যান্ডকে জানানো হলে তিনি উপস্থিত আমাদের পৈতৃক ভিটা থেকে সরে যেতে বলে। আমরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান রাসেলের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে পৌঁছাই।
পরবর্তীতে এসআই জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য আমাদের কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রেনেড হামলার মৃত্যুদন্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী হানিফের অন্যতম সহযোগী আবুল কাশেম খান ওরফে তপন খান আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং স্ব-পরিবারে ইন্ডিয়া চলে যেতে বলে এমতাবস্থায় আমি প্রাণনাশের আশংকায় রয়েছি। আমি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং আমার পৈতৃক ভিটা-মাটি ফিরে পেতে মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply