মঞ্জুর আহমেদ: অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে পৈত্রিক বাড়ী উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বুধবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।পরিবারের পক্ষে মো. আওলাদ হোসেন রবিন, পিতা: মৃত. মো. আব্দুল আজিজ, মাতা: রওশান আরা বেগম, ঠিকানা: বাসা নং- ১০, মনেশ্বর লেন, থানা হাজারীবাগ, ঢাকা, বলেন, আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমার মরহুম দাদা আবদুল ছালাম, পিতা মৃত অহেদ বকস ও আমার দাদী আমুজান বিবি ১০/২/১৯৪৮ সালে ১/ শ্রী যুক্ত রাজ্যশ্বর নট্র ২/ শ্রী উপেন্দ্র চন্দ্র নট্র, পিতা মতরাম কানাই নট্র ৩/ শ্রী মতি পারুল বালা দাস, পতি লাল মোহন নট্র এর কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে ১৬ কাঠা জমির মালিক। এরপর আমার দাদা-দাদী মৃত্যুর পর আমার পিতা আব্দুল আজিজ, আমার চাচা ও ফুফুদের নামে মহানগর জরিপ হয়। তাদের নাম ইকবাল মিয়া, দেলারা মিয়া, আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাফিজ, কাউসার বেগম এবং আমার মরহুম দাদা আব্দুস সালামের নামে বিদ্যুৎ, পানি ও ঢাকা সিটি করপোরেশন হোল্ডিং নিয়মিত পরিশোধ করা আছে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ারিশদের নামে বর্তমানে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রয়েছে। কিন্তু পত্রিক সূত্রে আমরা জমির মালিক থাকাস্বত্ত্বেও (১). আনু (৬০), পিতা: মৃত. শামসু মিয়া, (২).পান্না (৩৫), পিতা: মৃত. সফি, (৩). ফায়সাল (৩০), পিতা: বজলু মিয়া, (৪). বজলু মিয়া (৫৫), পিতা: অজ্ঞাত, (৫). ইসমাইল, পিতা: মৃত. রজমান। আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও বাসস্থান না থাকার কারণে আমার বাপ-দাদারা তাদেরকে আমাদের উক্ত বাড়িতে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেন। কিন্তু উক্ত জায়গায় আমরা পারিবারিকভাবে বহুতল ভবন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এই জন্য আমাদের ওই বাড়ীতে থাকা উপরোক্ত ব্যক্তিদের সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলি। তারা এতে রাজি হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে সম্মত হয় এবং কিছু দিন সময় নেয়। তাদের কথামত গত ৩১/০১/২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়ে কমিটির সদস্যদের সামনে রেজুলেশনে তারা নিজেরা স্বেচ্ছায় চলে যাবে বলে স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বাক্ষর করেন। গত ১৫/০১/২০২৩ ইং তারিখে আমরা ওয়ারিশরা মিলে তাদেরকে বাসা ছেড়ে দেয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে ওই আশ্রিত ব্যক্তিরা জানায়, তারা ওই বাসা ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে তাদেরকে আমরা বোঝাতে গেলে তারাসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন ব্যক্তি আমাদের হুমকি-ধামকি ও গালাগালি মারতে এগিয়ে আসে। পুনরায় ওই বাসায় গেলে তারা আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবে এবং মেরে ফেলবে বলে হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে বিবাদীদের বিরুদ্ধে গত ৩১/১২/২২ সালে আমি বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করি। যাহার নং ১৭২৭ ও গত ২৫/০১/২৩ সালে আরেকটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করি, যাহার নং ১৪০৮, হাজারীবাগ থানা। এমতাবস্থায় আমাদের পৈত্রিক বাড়ীতে বহুতল ভবন নির্মাণে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। উল্লেখিতরা বার বার আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। যাতে নিজেদের ওই বাড়ীতে আমরা যেতে না পারি। তারা বর্তমানে ওই বাড়ীটিকে তারা নিজেদের বাড়ী দাবী করে তা দখলে রেখেছে। এমতাবস্থায় দখলে থাকা আশ্রিত ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে। আমাদের পৈত্রিক বাড়ীতে আশ্রিত প্রাণনাশের হুমকিদাতাদের উচ্ছেদ করে ওই বাড়ীটি উদ্ধার করে আমাদের ফিরিয়ে দিতে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানাই।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল হাফিজ, হাজী মো: ফারুক, হাফেজ মো: হারুন অর রশিদ,হুমায়ুন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply