অনেক অর্জনের ফলেই এখন এই বাংলা ও বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী চিনেছে ও জানতে শুরু করেছে। এই দেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের আগ্রহ সেই প্রাচীনকাল থেকেই। ইদানীং সেটা বাড়তে শুরু করেছে।তাই খুব স্বাভাবিক কারণেই এই বাাংলায় এখন বহু দেশের নাগরিকরা ভ্রমণে আসতে ইচ্ছুক আমাদের সংস্কৃতি,প্রকৃতি, আহারাদি, পণ্য, ধর্ম চর্চা দেখতে ও জানতে। এদেশে আসতে হলে অবশ্যই তাদের যে কাজটি করতে হয় তা হল দেশ ভ্রমণের অনুমতির জন্য একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিসার আবেদন।। এজন্য আমাদের বৈদেশিক দূতাবাসগুলতে তাদের যেতে হয় ভিসা আবেদনের জন্য।কিন্তু আমাদের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারনে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই আমাদের দূতাবাস নেই। ভিসা পাওয়া বা সংগ্রহ করার জটিলার কারনেই অনেকের পক্ষেই আর বাংলাদেশ ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠে না। এটার দ্রুত সমাধানের জন্য আমাদের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের যৌথ ভূমিকা ত্বরিত সমাধান এনে দিতে পারে। অতি দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করা উচিত,যা আমাদেরকে আর্থিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি উৎস খুলে দিবে। বিদেশীদের এদেশে ভ্রমনের মাধ্যমে। তাদের সফরের মাধ্যমে।বহির্বিশ্বে আমাদের পণ্যের পরিচিতি পাবে এবং রপ্তানি বাজার বৃদ্ধি পাবে।
দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আগমন ও প্রস্থানের মাধ্যমগুলো যেমন বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোকে আধুনিক সেবার আওতায় আনতে হবে। যেমন আগমন ও বহির্গমনের কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো দ্রতু গতি সম্পন্ন হতে হবে, এসব কাজে নিয়োজিত পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি লোকজনদের আরো বেশি প্রশিক্ষণে আওতায়
আনতে হবে। মনে রাখতে হবে এদেশের সাথে প্রথম পরিচয় হবে এইসব লোকজনদের আচরণের মাধ্যমে।
অধৈর্য,উত্তেজনাপূর্ন কথাবার্তা ও অতি কথন সভ্য ও ভদ্র দেশের মানুষদের খুবই অপছন্দ।
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে ইলেকট্রনিক গেট বসানো হয়েছে, যেটা একজনের পাসপোর্টের ডাটা এন্ট্রি ও ভেরিফিকেশন করে যাচাইয়ের মাধ্যমে তাকে প্রবেশাধিকার দিয়ে থাকে। এটা সম্পুর্ন স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি উচ্চ নিরাপত্তার সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত হয়। যা একজন ব্যাক্তির সময় বাঁচিয়ে দেয় ও দ্রুততার সাথে তাকে স্বাগতম জানিয়ে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে।আমাদের দেশে এটা স্থাপন হয়েছে সত্য কিন্তু এর ব্যবহার প্রথমদিকে সীমিত থাকলও এখন একেবারেই সম্পূর্ণ সিস্টেমটি অকেজো, অবহেলিত ও অব্যবস্থাপনার কারনে ব্যবহার হচ্ছে না বলা যায়।
আরেকটি দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এই ইগেট স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল দুটি । প্রথম হল দ্রতুতম সময়ে একটি মানুষের বা যাত্রীর সেবা দেওয়া ও পেপারলেস যাতায়াতের ব্যব্স্থাপনা তৈরি করা। কিন্তু বিধি বাম ! আমাদের দেশে সেটি কখন হয়নি। বলতে পারেন এই ইগেট ব্যবস্থাপনার জন্মলগ্ন থেকেই যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এখন এখানে ইগেট ব্যবহার করার পরও আপনাকে ইইমিগ্রেশন পুলিশের টেবিলের সামনে যেয়ে তাকে সব পরীক্ষা নিরীক্ষা মাধ্যমে সন্তুষ্ট করতে হবে,তারপর তিনি নানাবিধ জিজ্ঞাসার পর পাসপোর্টে একটি সিল মেরে দিলেই আপনার বহির্গমন বা প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply