এইতো আর কয়েকটা বছর পরেই একটা প্রজন্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এরপর আর বাংলা মাস, তারিখ বঙ্গাব্দ সন মনে রাখার মতো কেউই থাকবেনা। রাতের আকাশে তাঁরা দেখে বৃষ্টি রোদের অবস্থা বুঝে দিনের কাজের রুটিন কেউ ঠিক করবেনা। বাড়ির চুলোয় মুড়ি ভেজে খাওয়া মানুষগুলো আর থাকবেনা। মজার মজার গল্প জানা লোকগুলো হারিয়ে যাবে।
বিয়ে বাড়ীতে দলবদ্ধভাবে গীত ধরার কেউ থাকবেনা। পুঁথিপাঠের সেই আড্ডাগুলোর মুখপাত্ররা হারিয়ে যাবে। হেঁটে ৫০/৬০ মাইল দূরের অমুক শহরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার কেউ থাকবেনা। স্বচক্ষে মুক্তিযুদ্ধ দেখার গল্পগুলো আর শুনবোনা। গরু দিয়ে হালচাষ করা মানুষও থাকবেনা। ঢেকি পাড়িয়ে এতো যত্ন নিয়ে পিঠা বানাবে না আর কেউই। সুরে সুরে গান ধরে হাতে হাতে ধান মাড়ানো মানুষগুলো হারিয়ে যাবে। টাইম স্পেন্ডের একমাত্র উপায় চায়ের দোকানে আড্ডার জেনারেশন আর থাকবেনা।
ভান্ডি, হারিকেনের আলোতে জীবনের দুভাগ শেষ করে ফেলা মানুষগুলো শেষ হয়ে যাবে আর কিছু বছরে।
ভয় পেলে আর কেউ লবন খাওয়াবেনা। হুটহাট আর কেউ বলবেনা, এই তোর নাজিম চাচারে ফোন ঢুকাই দে, তোর মতি দাদার নাম্বারটা সেভ করে দে। আমাদের হাতে ফোন দেখলে এভাবে তেলে জ্বলে আগুন হয়ে যাবেনা আর কেউই। অ্যান্ড্রোয়েড ফোন বড়ো বলে সেটাকে টেলিভিশন বলে আর কেউই সম্বোধন করবেনা। দাঁতের মাজন আর ছাই দিয়ে আর কেউই দাঁত মাজবেনা৷ মাজবেনা গাছের ডাল দিয়েও।
টাকা দিয়ে হয়তো সামনের জেনারেশনরাও বলবে, আমি যে টাকা দিছি, কাউরে কইস না। কিন্তু তাদের মতো একটা নোটে ১০টা ভাঁজ ফেলে চিপাচাপায় লুকিয়ে রেখে বা আঁচলে বেঁধে স্বযত্নে রাখা টাকাটার দরদমাখা মোহ আর কোনো জেনারেশনের টাকাতেই থাকবেনা।
হ্যাঁ আর কয়েকটা বছর পরই তাঁরা বিলুপ্ত হয়ে যাবেন, সাথে হারিয়ে যাবে বাঙালিদের শতশত হাজার হাজার ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্যের সাক্ষীগণ। আমরা কি তাদের আদৌ মিস করবো? নাকি করবোনা? আমরাও ভুলে যাবো অনেক বাঙালীয়ানা কালচার। যেগুলো এদেশের দরদমাখা মানুষের মোহমায়া।
আর মাত্র কয়েকটা বছর। 😭🙏
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoynewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply