মঞ্জুর: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ জামান ফিরোজ ও তার সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্যাং এর অসহনীয় হয়রানী-নির্যাতন, বাড়ী দখল, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ১৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ পারভেজ আহমেদ। তিনি বলেন, সৎ মাতার চক্রান্তে এডিশনাল এসপি মাহফুজ জামান ফিরোজ এর হুকুমে ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখে ভোর ৫.৩০ মিনিটে ১৪/১৫জন সাদা পোশাকধারী লোক কোন ওয়ারেন্ট, অভিযোগ বিহীন আমার বাসার দারোয়ানকে মারধর করে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে আসে। আমার সৎ মা মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যায়, বাধা দিলে তিনি আমাদের সবার প্রাণনাসের হুমকি দেয় এবং নোংরা ভাষায় সবাইকে গালাগাজ করে। যা পরবর্তীতে আমার বাবা বাড্ডা থানায় একটি জিডিও করেন, যার নং-২০১৩, তারিখ: ২৮/১১/২০২২। আমার সৎ মায়ের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পপর্যায়ে বাবা ২য় মাতাকে গত ০৩/১২/২০২২ইং তারিখে ডিভোর্স দেয়। মানসিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে বাবা গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ সালে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আমাদের উপর ২য় মাতার বিভিন্ন অন্যায় ও অত্যাচার, তার গ্রামের পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি, মাহফুজ জামান
জামান ফিরোজ এর হুকুমে ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখে ভোর ৫.৩০ মিনিটে ১৪/১৫জন সাদা পোশাকধারী লোক কোন ওয়ারেন্ট, অভিযোগ বিহীন আমার বাসার দারোয়ানকে মারধর করে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে আসে। আমার সৎ মা মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যায়, বাধা দিলে তিনি আমাদের সবার প্রাণনাসের হুমকি দেয় এবং নোংরা ভাষায় সবাইকে গালাগাজ করে। যা পরবর্তীতে আমার বাবা বাড্ডা থানায় একটি জিডিও করেন, যার নং-২০১৩, তারিখ: ২৮/১১/২০২২। আমার সৎ মায়ের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পপর্যায়ে বাবা ২য় মাতাকে গত ০৩/১২/২০২২ইং তারিখে ডিভোর্স দেয়। মানসিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে বাবা গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ সালে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আমাদের উপর ২য় মাতার বিভিন্ন অন্যায় ও অত্যাচার, তার গ্রামের পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি, মাহফুজ জামান ফিরোজ মাঝে মধ্যেই কিশোর গ্যাং দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হত্যার হুমকি প্রদর্শন করতো। বিগত ২৬/১১/২০২৩ তারিখে বাড্ডা থানায় আমাদের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরের দিন পুলিশ আমাদেরকে বাড্ডা থানায় ধরে নিয়ে যায়। আমার ছোট ভাইকে ১২/০২/২০২৪ তারিখে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। আমার নিকট ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে, নয়তো সারা জীবনে জেলে পচতে হবে। পরে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকী টাকা ৩-৪ দিন পরে দিবো বলে সেখান থেকে ছুটে আসি। ১৪/০৩/২০২৪ তারিখে এসপি ও আমার সৎ মা টেলিফোনে আমাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, আমি ঐ দিনেই বাড্ডা থানায় জিডি করি, যার নং-১০২৫। বিগত ০১/০৪৭/২০২৪ইং তারিখে বাড্ডা থানায় পুলিশ ও তাহার পালিত সন্ত্রাসীরা আমার বাসা জোরপূর্বক দখল করতে আসে। আমাকে জামাত শিবিরের লোক বলে গালাগাজ করে। এলাকাবাসীর সহায়তায় আমার পরিবার মুক্তি পায়। ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখে আমার সৎ মাতা আমাদের বাসার সিসি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ বাসায় এসে বিষয়টি জেনে আমাকে এখনই থানায় অভিযোগ দিতে বলেন, এডিশনাল এসপির নির্দেশে থানা পুলিশ আমার অভিযোগটি গ্রহণ করে নাই। উল্টা গত ২৬/০৬/২০২৪ইং তারিখে আমাদেরকে আসামী করে বাড্ডা থানায় একটি মিথ্যা মামলা রুজু করে, যার নং-জিআর-৩২১/২৪। পুলিশই তদন্তে মামলার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১৫/১০/২০২৪ইং তারিখে ঘটনা সত্যতা নয় মর্মে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন, চুড়ান্ত রিপোর্ট নং-৭২। পরবর্তীতে আমার সৎ মাতা আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের স্বাক্ষর জাল করিয়া ২০ লক্ষ টাকার একটি চুক্তিপত্র তৈরী করে। আমাদের ২ ভাইকে আসামী করে নরসিংদী শিবপুর সি.আর আমলী আদালত কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যার নং-৮৩৮/২৪। পরবর্তীতে ২৭/০৯/২০২৪ইং তারিখে আবারও এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাদের নিকট ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বলে যদি টাকা না দেন তা হলে খুব খারাপভাবেই আসবো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামাত-শিবিরের তকমা দিয়েছে এবং এখন আমাদেরকে আওয়ামী লীগের লোকজন বলে জেলে পাঠানোর হুমদি দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ায় ও তাদের ক্যাডার দিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর দখল করতে আসে। আরও হুমকি দেয় যে, কোর্ট তার, পুলিশ তার, উকিল তার, তার এক ফোনে মামলা হয় আর এক ফোনে মামলা খারিজ হয়। আমি গত ২৮/১০/২০২৪ইং তারিখে আমার সম্পদ রক্ষার্থে বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকায় একটি দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করি, যার নং-৮৪১/২৪। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে আমাদের পরিবারকে হয়রানী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয় এবং সুষ্ঠ বিচার, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেল হাজতে
মোঃ শরিফুল মোল্লা নড়াইল জেলা প্রতিনিধি নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। এ্যাড: সুবাস চন্দ্র বোস ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে