Somoy News BD

৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার
ব্রেকিং নিউজ

২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ হজ প্যাকেজ নামে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং অন্যটির মূল্য ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবছর প্যাকেজ দুটিতে খরচ কমেছে যথাক্রমে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ টাকা ও ১১ হাজার ৭১০ টাকা।

আজ বিকালে সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। বর্তমানে এদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৯৩ শতাংশ মুসলমান। হজযাত্রী প্রেরণের সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে আমাদের অবস্থান চতুর্থ। অনেকদিন ধরে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিভিন্ন প্লাটফর্মে হজ প্যাকেজ মূল্য কমানোর বিষয়ে দাবী জানিয়ে আসছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর এদাবীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হজের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে বেশ কয়েকদফা সভা করেছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল অতি সম্প্রতি সৌদি আরব সফর করেছে। এ সফরে সেদেশের হজ ও উমরাহ্ মন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় সভা করা হয়েছে এবং হজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সাথেও মতবিনিময় করা হয়েছে। এছাড়া, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের আবাসন উপযোগী হোটেল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া, আজ সকালে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভাও করা হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, সকল অংশীজনের মতামত, বিভিন্ন খাতে খরচের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য সকল ধরনের ব্যয় বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে এবছরের হজের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, হজের প্যাকেজ নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলো না, চেষ্টার কোন কমতি ছিলো না।

এবছরের বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এছাড়া, সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণপূর্বক এজেন্সিকে একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সনের ৫ জুন  পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজব্রত পালনের সুযোগ পাবেন।

সরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এ
মক্কায় হারাম শরীফের বহি:চত্বর হতে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মসজিদে নববী হতে সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মক্কায় হারাম শরীফ যাতায়াতের জন্য থাকবে বাসের ব্যবস্থা। এই প্যাকেজটিতে মিনায় তাঁবুর অবস্থান হবে গ্রীন জোনে (জোন-৫)   এবং মিনা-আরাফায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস পাওয়া যাবে।

সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ মক্কায় হারাম শরীফের বহি:চত্বর হতে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মার্কাজিয়া এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

উভয় প্যাকেজের হজযাত্রীরা মক্কার হোটেল কিংবা বাড়ি হতে বাসযোগে মিনার তাঁবুতে এবং মিনা-আরাফাহ-মুযদালিফা-মিনা ট্রেনযোগে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, মিনা এবং আরাফায় মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার পরিবেশন করা হবে। দুটি প্যাকেজেই মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেলে এটাচড বাথরুমসহ প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। হোটেলে থাকবে রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা। এছাড়া হজযাত্রীদেরকে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, এবছর প্রত্যেক হজযাত্রীকে খাবার বাবদ ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং কুরবানী বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়াল  আবশ্যিকভাবে সঙ্গে নিতে হবে।এছাড়া, অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে মক্কা ও মদিনার বাড়ি বা হোটেলে ২, ৩ ও ৪ সিটের রুম এবং শর্ট প্যাকেজের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

এসময় ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

সাইটিস অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী

আরও পড়ুন

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ (বুধবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-এঁর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত

আরও পড়ুন

সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায়  মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে ইসলামী সমাজের ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা সু-সম্পন্ন

মঞ্জুর: ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর (রবি, সোম ও মঙ্গলবার), গাজীপুর মুক্তমঞ্চ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ইসলামী সমাজের সম্মানিত আমীর এবং বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে মানুষ আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে আছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ দুর্নীতি, বৈষম্য ও জাহান্নামের পথ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বআইন-বিধান ও কর্তৃত্ব অমান্য করে তাঁর সাথে কুফর করছে এবং নিজেদেরকে সার্বভৌমত্বের মালিক, সংসদ সদস্যদেরকে আইনদাতা ও সরকার তথা মন্ত্রীদেরকে শাসনকর্তা মেনে মহান রব্ব আল্লাহর সাথে শিরক করছে। আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা চরম অপরাধ ও দুর্নীতি, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত ঠিকানা জাহান্নাম। মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ। মানুষের মাঝে বৈষম্যের মূল কারণ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি গ্রহণ করার কারণেই মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হচ্ছে না।সুতরাং গণতন্ত্রসহ কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। গতকাল ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং, মঙ্গলবার, বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে প্রয়োজন নীতি ও আদর্শ। গণতন্ত্রসহ মানব রচিত কোন ব্যবস্থাই নীতি ও আদর্শ নয়; সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ই একমাত্র নীতি ও আদর্শ। তিনি বলেন, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরতমুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই “দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে, সকলের সকল অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হবে। এ লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাগণ এবং দেশবাসী ছাত্র-জনতা সকলকে তিনি গণতন্ত্র ত্যাগ করে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোঃ নুরুদ্দিন, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, আজমুল হক আসাদুজ্জামান বুলবুল, আৰু বকর সিদ্দিক, সেলিম মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান এবং সকল জেলা, মহানগর, থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলসহ নেতা ও কর্মীগন ।

আরও পড়ুন

শিল্প উপদেষ্টার সাথে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিল্প উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান-এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত Nicolas Weeks সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে ১৭০টি সুইডিশ প্রতিষ্ঠান

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও