Somoy News BD

৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এর মানববন্ধন

মঞ্জুর: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন, বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ। শনিবার ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।  মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন,  মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম তোতা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কবৃন্দ মো. আসিনুর রহমান, নূরে আলম সিদ্দিকীরবিউল, শাহিনূর আক্তার, আসমা খানম, মো. মোজ্জামেল হোসেন, মো. আবদুল হক, মো. আনোয়ার উল্লাহ, টি এম জাকির হোসেন, মো. মাসুদুর রহমান। শিক্ষকরা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন থেকে বৈষম্যের শিকার। অথচ আজ মানুষ গড়ার কারিগর হয়েও তাদের প্রাপ্যতা আদায়ে রাজপথে নামতে হয়েছে। তারা বলেন, যেখানে জাতি গঠনে শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। স্মরকলিপিতে বলা হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদানের দাবিতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নানা রকম বৈষম্যের শিকার। বিগত সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো সুফল পাই নি। স্মারকলিপিতে বলা হয়, আজ আমরা আপনার মতবিশ্বনন্দিত, স্বনামধন্য, সুপরিচিত, বিচক্ষণ, দূরদর্শী, সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল। পুরষ্কার বিজয়ী একজন ব্যাক্তিত্বকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে আমরা বাঙালি জাতি ধন্য এবং কৃতজ্ঞ। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারী সরকারের কবল থেকে এদেশ মুক্তি লাভ করেছে তাঁদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের দেশপ্রেম সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, একমাতা বিচক্ষণতা, দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ সকল ধরনের সংকট কাটিয়ে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আমরা বিশ্বাস ওআস্থা রাখি এবং আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার সকল বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে শিক্ষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষকরা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়েন মেধাবী শিক্ষকদের পেশার প্রতি অগ্রাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুগোপযোগী বেতন কাঠামো এখন সময়ের দাবি। দীর্ঘ প্রায় ১০ (দশ) বছর পূর্বে ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছে। দশ বছরে দ্রব্য মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বাজার মূল্য বহন করতে দিশেহারা। বিগত পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস
পেলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালের পে-স্কেলে ২০ টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল। ২০তম থেকে ১১ তম গ্রেড পার্যন্ত বেতনের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ (আট শত) টাকা। অথচ ১০ম থেকে ১ম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০০০ (বারো হাজার) টাকা পর্যন্ত। যার ফলে ১৩তম গ্রেডে থাকা সহকারী শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ থাকা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আজও আলোর মুখ দেখেনি। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে ১০ম গ্রেড ও শত ভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির জোর দাবি জানান।

Related Articles

সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায়  মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে ইসলামী সমাজের ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা সু-সম্পন্ন

মঞ্জুর: ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর (রবি, সোম ও মঙ্গলবার), গাজীপুর মুক্তমঞ্চ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ইসলামী সমাজের সম্মানিত আমীর এবং বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে মানুষ আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে আছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ দুর্নীতি, বৈষম্য ও জাহান্নামের পথ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বআইন-বিধান ও কর্তৃত্ব অমান্য করে তাঁর সাথে কুফর করছে এবং নিজেদেরকে সার্বভৌমত্বের মালিক, সংসদ সদস্যদেরকে আইনদাতা ও সরকার তথা মন্ত্রীদেরকে শাসনকর্তা মেনে মহান রব্ব আল্লাহর সাথে শিরক করছে। আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা চরম অপরাধ ও দুর্নীতি, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত ঠিকানা জাহান্নাম। মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ। মানুষের মাঝে বৈষম্যের মূল কারণ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি গ্রহণ করার কারণেই মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হচ্ছে না।সুতরাং গণতন্ত্রসহ কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। গতকাল ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং, মঙ্গলবার, বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে প্রয়োজন নীতি ও আদর্শ। গণতন্ত্রসহ মানব রচিত কোন ব্যবস্থাই নীতি ও আদর্শ নয়; সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ই একমাত্র নীতি ও আদর্শ। তিনি বলেন, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরতমুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই “দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে, সকলের সকল অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হবে। এ লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাগণ এবং দেশবাসী ছাত্র-জনতা সকলকে তিনি গণতন্ত্র ত্যাগ করে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোঃ নুরুদ্দিন, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, আজমুল হক আসাদুজ্জামান বুলবুল, আৰু বকর সিদ্দিক, সেলিম মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান এবং সকল জেলা, মহানগর, থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলসহ নেতা ও কর্মীগন ।

আরও পড়ুন

শিল্প উপদেষ্টার সাথে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিল্প উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান-এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত Nicolas Weeks সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে ১৭০টি সুইডিশ প্রতিষ্ঠান

আরও পড়ুন

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ (রবিবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-এঁর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত

আরও পড়ুন

ইনিস্টিউশন অফ ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশর অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবী    

মঞ্জুর: গত ২৪-১০-২৪ ইং তারিখে ইনিস্টিউশন অফ  ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ প্রংগনে অবৈধভাবে আইইবির সদরদপ্তরের ও ঢাকা কেন্দ্রের কমিটি গঠন বাতিল প্রসংগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মিয়া মোহাম্মদ কাইউম, সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) আইইবি। তিনি

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও