মোঃ শরিফুল মোল্লা নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল হত্যাকাণ্ডের ৮ মাস পার হলেও গ্রামে যেতে পারছে না আসামিপক্ষ ও সাধারণ পরিবারের লোকজন। আইনের সহযোগিতায় তারা ফিরে যেতে চায় গ্রামে।
গত ১০ মে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে মঙ্গলহাটা থেকে আকবর হোসেন লিপন মেম্বারের গ্রুপের লোকজনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল।
পরবর্তীতে মেম্বার আকবর হোসেন লিপনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামি করে ১টি হত্যা মামলা রজু হয় লোহাগড়া থানায়।
এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৯জন মহামান্য আদালত থেকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি পায়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলহাটা গ্রামে মেম্বার আকবর হোসেন লিপনের পক্ষের শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এবং ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়ি ঘর ছাড়া রয়েছেন দুই শতাধিক নিরীহ পরিবার।
১১ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মেম্বার আকবর হোসেন লিপন দুই শতাধিক গ্রামবাসী নিয়ে আইনের সহযোগিতায় গ্রামে যাওয়ার জন্য লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: আশিকুর রহমানের শরণাপন্ন হয়।
থানা থেকে বের হয়ে লিপন মেম্বার সাংবাদিকদের জানান,আমি এই বিষয়ে নড়াইল ডিসি মহোদয় ও নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছি এবং লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আশিকুর রহমানের সাথে কথা বলেছি তিনি আমাদের গ্রামে ফিরে যেতে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এসময় গ্রামে ফিরে যেতে চেয়ে সাধারণ লোকজন বলেন,আমরা আজ ৮ মাস গ্রাম ছাড়া ও ঘর ছাড়া রয়েছি।আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে দিয়েছে চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন।এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। ছেলেমেয়েরাও প্রায় ১ বছর পড়াশোনা করতে পারছেনা।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: আশিকুর রহমানের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি জানান, ২ পক্ষের লোকজনদের সাথে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন বিট অফিসার কে বলা হয়েছে, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।