নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নে চলতি ২০২৩/২৪ অর্থবছরে ঢাকা বিভাগের ২৫ টি বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রকে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মাদকাসক্ত নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগ আয়োজিত বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য সরকারি আর্থিক অনুদানের চেক তুলেদেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরসহ সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি বর্তমানে আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আমাদের দেশের মূল সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি। এই জনশক্তির দুই- তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ মাদক নামক মরণ নেশায় আক্রান্ত। ফলে আমাদের দেশ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মাদক সেবনের ফলে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ জীবনীশক্তি, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা ও মেধা শক্তি হারিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, খুন ও সন্ত্রাস। তিনি বলেন, তিনভাবে আমরা মাদক সমস্যার সমাধান করে থাকি। একটি হচ্ছে মাদকের সরবরাহ হ্রাস, অন্যটি মাদকের চাহিদা হ্রাস ও এবং তৃতীয়টি হচ্ছে মাদকের অপব্যবহারজনিত ক্ষতি হ্রাস। এই তিনটি দিক নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মাদকাসক্তদের চিকিৎসা কার্যক্রম আরও উন্নত ও সহজলভ্য করার জন্য সরকারি সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকার যে উদ্দেশ্যে এই অনুদান দিচ্ছে অর্থাৎ মাদকাসক্তি চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত ও সহজলভ্য করার জন্য সেটি যাতে শতভাগ অর্জিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। অনুদান পাওয়া অর্থ বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রগুলো নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি। একই সঙ্গে নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদাকাসক্তি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এ কাজটি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করতে হবে বলে জানান তিনি।মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদানের চেক নিয়েছেন বারাকা বাংলাদেশ মাদকাসক্ত চিকিৎসা সহায়তা ওপুনবাসন কেন্দ্রের ম্যানেজার জন মন্টু পালমা এ সময় বারাকা মাঠ কর্মী মোঃ জিয়াউল হাসান ফুয়াদ ও সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো হলো প্রমিসেস মেডিকেল লিমিটেডঃমাদক শক্তি নিরাময় পুনর্বাসন কেন্দ্র,স্নেহনীড় মাদকাসক্তি চিকিৎসা সহায়তা ও পুনবাসন কেন্দ্র, উৎসব মাদকাসক্তি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, সোসাইটি ফর সোস্যাল পিসফুল লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র,বিকন পয়েন্ট লিমিটেডঃমাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র,মুক্তি মানসিক এন্ড মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র,ইনসাইড সাইকো সোস্যাল কেয়ার এন্ড রিসার্চ মাদকাসক্তি পুনর্বাসন,এঙ্গেনা লিমিটেডঃমাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র,ব্রেন এন্ড মাইন্ড হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেডঃমাদকাসক্তি নিরাময়, লাইক অ্যান্ড লাইট হসপিটাল,ব্রেন এন্ড লাইক হসপিটাল মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, আশ্রয় মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, ওমেগা পয়েন্ট মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, সেফ হোম মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্র,ক্রিয়া মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, চ্যালেঞ্জেস ব্রিজ টু রিকভারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা সহায়তা পুনর্বাসন কেন্দ্র,আমার হোম মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, ফেরা মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র, “হিলস” মাদকাসক্তি চিকিৎসাও পুনর্বাসন কেন্দ্র,”যুগান্তর”মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, “সুস্থতার পথ” মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, আপন (আসক্তি পুনর্বাসন নিবাস), ঢাকা আহসানিয়া মিশন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, ঢাকা ই্য়ুথ ফাষ্ট কনসান্স(বিওয়াইএফসি)মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র।