Somoy News BD

৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার
ব্রেকিং নিউজ

আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে – আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর

মঞ্জুর:“ইসলামী সমাজ” এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে আলকুরআন বিরোধী সংবিধান প্রতিষ্ঠিত থাকায় বিশ্বের মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অধীনে বন্দি হয়ে মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধান পালনের মাধ্যমে চরম দূর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনও শ্বাসে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় ইসলামের পরিবর্তে গণতন্ত্র গ্রহণ করে দল ও উপদলে
বিভক্ত হয়ে মহা বিভ্রান্তিতে ডুবে আছে, যার কারণে দুর্নীতি ও বৈষম্যের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনও গধ্বংস হচ্ছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, সকলের সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, সকল ধর্মের লোকেরা যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবে, ফলে দুর্নীতি ও বৈষম্যুযুক্ত কল্যানকর সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে। ইসলামী সমাজ’ এর উদ্যোগে গতকাল ২৫ নভেম্বর, সোমবার, সকাল ১০টায়, শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা গাবতলী থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে এবং সর্বশেষ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ুন কবীর এসব কথা বলেন। ইসলামী সমাজের আমীর তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থা ত্যাগ করে আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা করবেন তারা আখিরাতে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভ করবেন। এ লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেই আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একথার উল্ল্যেখ করে তিনি বলেন, এতেই রয়েছে কল্যাণ ও মুক্তি। তিনি বলেন গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়। এসবকে ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা উল্লেখ করে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহণ করার এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহবান জানান। গণজাগরণ যাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল, সর্ব জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোঃ আলী জিন্নাহ, মোঃ নুরুদ্দীন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান বুলবুল, সেলিম মোল্লা, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন জেলা দায়িত্বশীল, মহানগর দায়িত্বশীল, দায়িত্বশীল সহকারী আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্, থানা দায়িত্বশীল এবং কর্মী ও সদস্যগণ।

Related Articles

অটোমোবাইলস সিটি প্রতিষ্ঠার দাবি

মঞ্জুর: আধুনিক অটোমোবাইল সিটি প্রতিষ্ঠা ও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে ৪ঠা ডিসেম্বর  “অর্গানাইজেশন ফর দ্যা ওয়েলফেয়ার অব ড্রাইভারস্ এন্ড মেকানিকস্” সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রাইম

আরও পড়ুন

এলডিসি গ্রাজুয়েট দেশ হিসেবে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে- উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।  প্রণোদনা কমানো নিয়ে যে পদক্ষেপ সেটা

আরও পড়ুন

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি

মঞ্জুর: শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ  ফ্যাসিবাদ মুক্ত  করার দাবিতে মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন

পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক পোশাক শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পোশাক শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পের সকল সমস্যার সমাধান

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও