Somoy News BD

১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

দুই হাজার বছর পূর্বের নিদর্শন পাওয়ার দাবী গবেষকদের

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনের নেতৃত্বে এক দল গবেষক বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চাপাইনবাবগঞ্জের  গোমোস্তাপুর উপজেলার প্রশাসনিককেন্দ্র রোহানপুরে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্ন সামগ্রী উপর ভিত্তি করে আদি ঐতিহাসিক সময়ের বরেন্দ্রভূমির প্রবেশদ্বার হিসেবে শনাক্ত করেছেন বলে দাবি করেন। আজ শনিবার (১১ই মে) গবেষণালব্ধ ফলাফল রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন তাঁরা।

এই গবেষণা দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চারজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান খান, সহকারী অধ্যাপক মো. নিয়ামুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজোয়ানা, সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং শান্ত-মরিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা নাজনীন ও রোহনপুর গ্রামের ঐতিহ্য সংগ্রাহক মাহির ইয়াসির।

গবেষণার সাক্ষ্য স্বরুপ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনের পাশে প্রত্ন স্থল থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন হাজার বছরের পুরোনো ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা, ছাঁচে ঢালা তাম্রমুদ্রা, উত্তরাঞ্চলীয় কালো চকচকে মসৃণ মৃৎপাত্র, স্বল্প মূল্যবান পাথরের পুঁতি, ধাতব নিদর্শন, মাটি ও পাথরের মূর্তি, নানা আকৃতির পাথরের বাটখারাসহ প্রাচীন নানা প্রত্ন বস্তু প্রদর্শন করা হয়।মূলত এসব প্রত্নসামগ্রীর বেশির ভাগ পাওয়া গেছে মুদ্রা ও প্রত্নবস্তু সংগ্রাহক মাহির ইয়াসিরের সংগ্রহশালা থেকে।

গবেষকদলের দাবী রোহনপুর অঞ্চলে প্রত্নঅনুসন্ধানে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নবস্তু ও এ অঞ্চলের বাস্তুবস্তু বিশ্লেষণ, বসতি বিন্যাস বিশ্লেষণ, স্থাপত্য বিদ্যার ‘টেকসই অঞ্চল পরিকল্পনার’ আলোকে স্থানিক বিশ্লেষণ, অতীত পানি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ, এর উপরিভাগের ভূ-ত্বক, মাটির ধরণ, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পানির উৎস পর্যবেক্ষণ, ১৯৬০ এর দশকের স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘ এই গবেষণায় সকল সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রহনপুরের এলাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার বছর আগে আদি ঐতিহাসিক কালপর্বে অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের বিভিন্ন স্বল্প মূল্যবান পাথরের পুঁতি, ধাতব নিদর্শন, মাটি ও পাথরের মূর্তি, নানা আকৃতির পাথরের বাটখারাসহ প্রাচীন নানা প্রত্ন বস্তুর উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল বলে আমরা বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছি। ভবিষ্যতে রোহনপুরে পরিকল্পিত খনন চালালে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করছি।’

বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং গবেষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থানীয় একজন শিক্ষক সেখানে সম্প্রতি বেলে লাল পাথরের একটি মূর্তি খুঁজে পেয়েছেন, যা খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। আজ গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বলা যায় রোহনপুর দুই থেকে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। তাই রোহনপুরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে প্রত্ন নিদর্শনগুলো দ্রুতই সংরক্ষণ করতে হবে।’

Related Articles

সাভার প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল,সম্পাদক জিয়া

মোঃ আল-শাহরিয়ার বাবুল খান:বহুল আলোচিত ও সমালোচিত,কাঙ্খিত ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দীর্ঘ ৭বছর পর অনুষ্ঠিত হলো সাভার প্রেসক্লাবের (২০২৫ইং) এক চমকপ্রদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত

আরও পড়ুন

ওয়ালটন ও মার্সেলের প্রতারনার শিকার ইলেকট্রনিক্স ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত

মঞ্জুর: গতকাল ১৪ই জানুয়ারী ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স বিজনেস

আরও পড়ুন

৩০ নম্বর ওয়ার্ডে যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (সোমবার) ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আদাবর থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ডের আয়োজনে  কর্মী সভায় অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত  কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,

আরও পড়ুন

এক নারীর গুরুতর অভিযোগ সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে

মঞ্জুর:  সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ভুক্তভোগী নারী। তিনি দাবি করেন, একটি মামলায় তার কাছ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও