Somoy News BD

৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার
ব্রেকিং নিউজ

দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ                                      -ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন,  বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে মুসলিম,  হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস  করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজ সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এফসিডিও’র সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে।  জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পিছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতিক। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেদেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সেবিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোন দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না। তিনি বলেন, যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায় তারা দুর্বৃত্ত, তাদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই।

ড. খালিদ আরো বলেন,  শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর  ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শ্রী হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস,  টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয় প্রমুখ।

এ সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন । অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম বক্তব্য প্রদান করেন। এ সংলাপে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।

Related Articles

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত রাতুলকে আর্থিক সহায়তা দিলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকা রাইসুর রহমান রাতুল নামের একজন তার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে

আরও পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর:মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি ১লা জানুয়ারী ২০২৫, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৩য় তলায় ফ্যাসিবাদী পতিত স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার তার মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও তাদের

আরও পড়ুন

নতুন বছরের আগমনের শুভেচ্ছার বার্তা জানিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম সিকদার

মোঃ আল-শাহরিয়ার বাবুল খানঃ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে কপি হাউজের সেই সোনালী গোধূলির আকাশে রাত কাটা আর নেই,আমি বসে আছি এক নতুন উদীয়মান পাখির কল

আরও পড়ুন

নতুন বছরের শুভেচ্ছার বার্তা জানিয়েছেন ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ

মোঃ আল-শাহরিয়ার বাবুল খানঃ অতীতের স্মৃতি ও গ্লানিকে পিছনে ফেলে নতুন জীবনের গতিময়,নতুন বছরের আবির্ভাবের বার্তা নিয়ে,সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে, স্মরণীয় ইতিহাসের পাতায়  খচিত

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও