Somoy News BD

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , রবিবার
ব্রেকিং নিউজ

মিরপুর বিআরটিএ পরিদর্শক অরুণ সরকারের অপকর্ম –দুর্নীতির দেখার কেউ নেই !

মহিউদ্দিন খন্দকার:
রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ মালিকানা বদল শাখায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাইভেট মালিকানা বদল শাখার মোটরযান পরিদর্শক অরুণ সরকার দুর্নীতিতে অন্যতম । তিনি সিন্ডিকেট মাধ্যমে বিআরটিএ সকল কাজ করে থাকেন । তার প্রধান হাতিয়ার
মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান এবং তার  চাচাত ভাই তন্ময় । মিরপুর বিআরটিএ ১১৪ নং রুমেএকঝাক দালাল প্রতারক অফিসের চেয়ার টেবিল ব্যবহার করে গ্রাহকদের হয়রানি করে অর্থ  হাতিয়ে নিচ্ছে। দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
বিআরটিএ  গাড়ির মালিকানা বদল করতে আসা  গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় । পরিদর্শক অরুণ সরকারের অধীনে থাকা ১১৪ র্ং রুমের দালাল সিন্ডিকেটের হাতে । রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে মোটরযান মালিকানা বদল করতে আসা জুলফিকার আলী তিনি জানান, আমি একটি প্রাইভেটকার মালিকানা বদল করার জন্য তিন মাস যাবত ওই কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হয়ে ঘুরছি ।এ ব্যাপারে অরুণ সরকারের কাছে গেলে তিনি বলেন মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকিবের কাছে যান রাকিবের কাছে গেলে তিনি বলেন এটা আমার কাজ নয় পরিদর্শক অরুণ সরকারের কাছে যান ।
পুনরায় পরিদর্শক অরুণ সরকারের কাছে গেলে অরুণ সরকার বলেন আপনি মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকিবুল হাসান এর কাছে যান সেই এ কাজটি সমাধান করে দিতে পারবে ।
আমি পুর্নরায় রাকিবের কাছে গেলে তিনি আমাকে বলেন দুই সপ্তাহ পরে যোগাযোগ করবেন পরবর্তীতে তাদেরই নিয়োজিত এক দালালের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন টাকা ছাড়া কোন কাজ হবে না আপনি টাকা দেন তা হলে এক সপ্তাহের ভিতরে আপনার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে । আমি ওই দালালের মাধ্যমে মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকিবুল হাসানকে টাকা দিলে আমার কাজটি সম্পন্ন করে দিবেন।
জুলফিকার আলী আরও অভিযোগ করে
বলেন ,বিআরটিএতে যে কোন কাজ করতে আসলে ঘুষ ছাড়া কোনই কাজ হয় না । দিনে দিনে বেড়ে চলেছে অরুন সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতির কর্মকাণ্ড । অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রায় পাঁচ মাস আগে সহকারী অফিসার থেকে মোটরযান পরিদর্শকে পদোন্নতি হয় অরুণ সরকার ।  বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অরুণ সরকার। গ্রাহকদের হয়রানির শেষ নেই। এই বিআরটিএতে টাকা দিতে হয় জনেজণে মালিকানার কোন স্লিপ করতে গেলে হতে হয় হয়রাণির শিকার গাড়ি ক্রেতা বিক্রেতা উভয় হাজির থাকা সত্ত্বেও প্রতি মালিকানায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা দিতে হচ্ছে এই কর্মকর্তাকে । সরজমিনে দেখা যায় দিনের বেলা সে বিভিন্ন ইস্যু ধরে গাড়ি চেক ও রুমের দরজা আটকে বসে থাকে সারাদিনের সকল ফাইল একত্র করে রাতের আঁধারে অনুসরণে, অরুন সরকার স্বাক্ষর করে । অরুণ সরকারের কথা মতো সারাদিন সকল ফাইল জমা করে রাখা হয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয় বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। অথচ সরকারের নিয়ম তোয়াক্কা করে অরুণ রাত নয়টা পর্যন্ত অফিস করতে দেখা যায় । তার কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন,  আমাদের স্যার আছে তার সাথে কথা বলুন আমরা সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিষেধ এভাবে দিনের পর দিন দুর্নীতি অনিয়ম করে যাচ্ছে এই মোটরযান পরিদর্শক । জানা যায়, ফারদিন হাসান ফাহিম নামক এক লোক তার গাড়ি র ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে বিআরটিতে আসেন। এর পর সরজমিনে বিআরটিএ-তে ১১৪ নম্বর কক্ষে ঢাকা মেট্রো গ — ১৫–  ০৭১০, একটি প্রাইভেট গাড়িটির ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাগজপত্র দেখতে চাইলে রাকিবুল হাসান কাগজপত্র না দেখিয়ে বলে উক্ত গাড়িটির ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়েছে । এই ব্যাপারে গাড়িটির মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার গাড়িতে আগের ইঞ্জিনটি বহাল আছে ইঞ্জিন পরিবর্তন যদিও কাগজপত্র হয়েছে। কিন্তু আমার গাড়িতে ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়নি। আমার গাড়ির চেসিছিস ১৬০০, আমি যেহেতু ১৬০০, থেকে পনেরশো সিসির ইঞ্জিন লাগাবো তাহলে আমার খরচটা কমে যাবে ।শেষ পর্যন্ত তারা অফিসিয়াল ভাবে কাগজপত্রে১৫০০ সিসি ইঞ্জিন হয়ে গেছে বলে জানান। কিন্তু বাস্তবে আমার গাড়িতে ১৬০০ সিসি ইঞ্জিন রয়েছে তা দিয়ে আমি বর্তমানে গাড়িটি চালিয়ে আসিতেছি। তারা আমার সাথে প্রতারণা করে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতিবছর আমার এই প্রাইভেটকার গাড়িটির ৬০ হাজার টাকা  ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। আর যদি ১৫০০ সিসি করা যায় তাহলে হয়তো বছরে ৩০ হাজার টাকা বেঁচে যাবে তাই আমি বিআরটিএ অফিসের ওই কর্মকর্তা কাছে গিয়ে বিস্তারিত বললে তারা আমাকে সব কাজ করে দিবে বলে বলেন। পরে তারা আমার কাছ থেকে বিশ হাজার  টাকা নেয়। টাকা নিয়ে তারা  গাড়িটি না দেখে ফাইল জমা করে সরকারি স্লিপ দেয় । এখন আমার গাড়ির ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়েছে অফিসিয়াল কাগজপত্রের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবে তা পরিবর্তন হয়নি। সিসি পরিবর্তন হয় নাই কি কারনে আমার গাড়ির ইঞ্জিন পরিদর্শন না করেই আমাকে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে দেয় যদি চেসিছিস পরিবর্তন নাই হয় তাহলে আমি ইঞ্জিন পরিবর্তন কেন করব। তারা আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে আর বলেন আমরা আপনার কাজ যত তাড়াতাড়ি পারি সম্পূর্ণ করে দিব। অদ্যবতী তারা আমার কাজটি করে দেয়নি । অনিয়ম দুর্নীতি দমন করা সম্ভব যদি গনমাধ্যম সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে আর এই দুর্নীতি বাজ অফিসারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন উক্ত মন্ত্রনালয় এই আশায় জনস্বার্থে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনে স;বাদটি প্রচার করা হয়।

Related Articles

সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত হবে-আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুর: ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে বিশ্বের মানুষ মানুষের গোলামে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাঁচ দাবি

মঞ্জুর: অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি

আরও পড়ুন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং শুক্রবার দেশের জাতীয় দৈনিক কালবেলায় “তিন বাহিনীর দখলবাজিতে অশান্ত আশুলিয়া ডিইপিজেড “এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন  আশুলিয়া থানা

আরও পড়ুন

আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের ঘুষ নেওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস, করল এক কনস্টেবল

হৃদয় শিকদার: আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, থানার এক কনস্টেবল সাক্ষী দিয়েছেন  যে, এসআই

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও