মঞ্জুর :নৌযান শ্রমিক ও শিল্প রক্ষায় ১১ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার রাত বারোটা এক মিনিট থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করবে তারা। রবিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন নেতারা এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলমসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করছি। বিভিন্ন মহলে দাবি উপস্থাপন করেছি। সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বরাবর আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। তিন মার্চের মধ্যে ১১ দফা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের কোনো দাবি এখন পর্যন্ত মেনে নেয়া হয়নি। এই অবস্থায় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন লাগাতার কর্ম বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিগুলো হল- নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড গঠন, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র-সার্ভিস বুক দেয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা। <span;>সব মালিক সমিতিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে এক কেন্দ্রিক সিরিয়াল মেনে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে বাধ্য করা। মালিক সমিতিগুলোর সঙ্গে গেজেট বহিভূত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিভুক্ত অমীমাংসিত দাবিসমূহ পুনর্নির্ধারণ করে চুক্তি সম্পাদন। চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খনদীকে পোতাশ্রয়ের উপযোগী করা, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ, নদী ও সব সমুদ্র বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মার্কা-বাতি-বয়া স্থাপন, চ্যানেলে জালপাতা বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় পাইলট সরবরাহ নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম চরপাড়া-জালিয়াপাড়া পর্যন্ত নাবিকদের নিরাপদে উঠানামার জন্য কমপক্ষে পাঁচটি ইজারামুক্ত ঘাট ও মেরিন ড্রাইভের ওপর চরপাড়া ও জালিয়াপাড়া <span;>এলাকায় দুটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা। ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, হলদিয়া বোর্ডের লোডিং পয়েন্টে ড্রেসিংসহ ভারতীয় সীমানায় নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নৌশ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান করা। পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, প্রস্তুতি কোর্সে অংশগ্রহণের আগে চক্ষু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করা ও প্রত্যেক শ্রেণির পরীক্ষার জন্য বছরে একবার পরীক্ষার বিধান চালু। বাল্কহেডসহ ১০০ বিএইচপির ঊর্ধ্বে নৌযানে তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার ড্রাইভার, ১ম ও ২য় শ্রেণির নৌযানে দুইজন মাস্টার- দুইজন ড্রাইভার এবং ১৫০০-বিএইচপির ঊর্ধ্বে সব নৌযানে ইনল্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইএম ই) নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা। বালুবাহী নৌযানে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। আদালতে সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার ড্রাইভার সনদ বাতিলের কর্মকাণ্ড বন্ধ ও অভিযান-১০ লঞ্চের চার মাস্টার ড্রাইভারের সনদের বাতিল আদেশ প্রত্যাহার এবং নৌদুর্ঘটনার সব মামলা নৌআদালতের এক্তিয়ারভুক্ত করে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে নৌআদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রতি মাসে দায়ের করা মামলার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্য শিকারি জাহাজ শ্রমিকদের গেজেটের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং অন্যান্য সব দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে। এছাড়া নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, ডাকাতি, কালোবাজারি ও জাহাজ ছিনতাই বন্ধ করতে হবে।
সাইটিস অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী