মঞ্জুর:নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট)।বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাক্রাফটের সভাপতি এস ইউ হায়দার বলেন, ‘১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাক্রাফট সংগঠনটি গ্রাম্য নারীদের ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়নের প্রধানতম একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেয়ে আসছে। ফলে এই সেক্টরটি কিছুটা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিতভাবে বিগত দুই অর্থবছরে সহায়তার হার ২০ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। যা দেশের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার শামিল। দেশের মাটি ও মানুষ তথা নারীদের এই শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে এবং এই খাতে নিয়োজিত লাখ লাখ কারুশিল্পীদের কথা বিবেচনা করে নগদ সহায়তা কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে গ্রামকে শহরে উন্নীত করে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী জাতিকে দেখাচ্ছেন, তা পূরণ করার ক্ষেত্রে হস্তশিল্প অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এমনকি এই খাতে উন্নয়নের ফলে এসডিজি অর্জন ও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হতে পারে। কারণ এই শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পণ্য পর্যন্ত শতভাগ পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া এই খাত থেকে উপার্জিত রপ্তানি আয়ের অধিকাংশের সুবিধাভোগী হচ্ছে গ্রাম পর্যায়ের নারী; যা সরাসরি আমাদের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী হস্তশিল্পের বাজারের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৭৫২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৩-২৮ সালের মধ্যে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১২৯৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান, সহ-সভাপতি ফজিয়া আমিন নিনা প্রমুখ।