Somoy News BD

২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার
ব্রেকিং নিউজ

দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জেলা প্রশাসকদের প্রতি —পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

অনলাইন ডেস্কঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে একটু ভিন্ন। একসময় পশ্চাদপদ জনপদ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য  চট্টগ্রামে দুই যুগেরও বেশি সময় চলমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত ‍নিরসনে ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। পার্বত্য অবহেলিত অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এখন দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার কাজে সকলকে নিবেদিত হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা পার্বত্যবাসীরা ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর চতুর্থ দিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এমন মন্তব্য করেন।

অধিবেশন শেষে মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে একীভূত করে সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে পার্বত্য দুর্গম এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পৌঁছানো সম্ভব নয়, সে সমস্ত এলাকায় সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার সোলার প্যানেল স্থাপন করে আড়াই লাখ দুর্গম পার্বত্য মানুষের কাছে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া খুব শিগগিরই আরও ১ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ৫ লাখ দুর্গম মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে এ সরকার।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পানির সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের বনায়নকে ফিরিয়ে আনতে উজার হওয়া বনগুলোতে নতুন করে গাছপালা লাগানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে ভূমি কমিশন আইন করা হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ভূমি কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন বিধির কাজ চলছে। বিধি হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অধিবেশন সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১ হেক্টর বনভূমি জবরদখলমুক্ত, সাভারে ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা বিটে যৌথ অভিযানে ১ হেক্টর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে। আজ ২৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বন বিভাগ ও

আরও পড়ুন

“একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের ব্যাপক ব্যবহার বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি”

মঞ্জুর:এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো তার প্রধান কার্যালয়ে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ “একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পরিবেশগত প্রভাব: দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন

আরও পড়ুন

সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি

মঞ্জুর:তাবলিগ জামাতের চলমান সমস্যা সমাধান করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন সাদপন্থি মুসল্লিরা। তারা সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন। এতে তাবলিগের সাদপন্থি নেতা

আরও পড়ুন

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার কে ক্যাডার বহির্ভুত করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যানের দাবি

মঞ্জুর:বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার বহির্ভূত করার জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এমন সুপারিশকে হঠকারী বলছে বিসিএস

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও