মঞ্জুর:ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এর পাশাপাশি ৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব প্রস্তাব দেয়া হয়। বক্তারা বলেন, গত দেড় দশকে বাজার নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইর উদাসীনতা ও ব্যর্থতার কারণে সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এফবিসিসিআই’র নেতৃত্ব শুধুমাত্র কর্পোরেট ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট হাউজগুলোর স্বার্থ রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিল, এখানে মাঝারি ওক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এফবিসিসিআইর সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। গত ১৮ আগস্ট এফবিসিসিআই’র সাধারণ পরিষদ সদস্যরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর পরিষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আবেদন করেন এবং সরকার গত ১১ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআই’র পরিচালনা পরিষদদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। এ সময় ৮ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এফবিসিসিআই’র নির্বাচনের আগে এর অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। কারণ বিগত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন;
ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সত্যিকারের সৎ, যোগ্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের এফবিসিসিআই’র সদস্যভুক্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এফবিসিসিআই’র নির্বাচনের আগে এফবিসিসিআই অধিভুক্ত সব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে: মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিল করা। সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এফবিসিসিআইর পরিচালনা পরিষদ ছোট করা। সহসভাপতি ৭ জনের স্থলে ৩ জন করা। পরিচালনা পরিষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করা হয়। এফবিসিসিআইসহ সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাদেরকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণ করতে হবে। সবশেষে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদেরকে যে কোনো উপহার, উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে। প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মানার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করবেন বলে সংস্কার প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, জাকির হোসেন নয়ন, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন ও জাকির হোসেন প্রমুখ।
ইউনিট সভাপতি নজরুল ইসলাম বিশাল মিছিল নিয়ে কর্মীসম্মেলনে যোগদেন
মোঃসাজ্জাদ হোসেন মোস্তফাঃ আজ সকাল ৯ ঘটিকায় তেজগাঁও রেলওয়ে খেলাঘর সমাজ কল্যান সংঘের মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও থানার আয়োজনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ