নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের তৃতীয় তলায় ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর ও অর্থের যোগানদাতা রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে দেয়া একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকির বিচার চেয়ে রাইসুল ইসলাম জুয়েলের সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে মেহেদী হাসান দিপুর কাছ থেকে ৩ বছরের চুক্তিতে বনানী থানাধীন রোড নং-১৭, বাসা নং-৫৯, হোটেল ইউনিক রিজেন্সীর রুফটপের রেস্টুরেন্টটি পার্টনাশীপ ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকি। আমি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করার পর থেকে ০৬ মাস পর্যন্ত তারা আমাকে ভ্য্যাট, ট্যাক্স ও সার্ভিস চাজের্র কোন টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে মেহেদী হাসান দিপু ও তার বাবা রফিকুল ইসলাম আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়।কারন জানতে চেয়ে তাদের সাথে কথা বললে তারা আমাকে জানায় আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না। রেষ্টুরেন্ট অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দিবে। চুক্তি অনুযায়ী ০৩ (তিন) বছর পূর্ণ হওয়ার আর্গে আমাকে ব্যবসা করতে না দেয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো আমাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টে আসবাবপত্র, ইন্টেরিয়র ও বিভিন্ন ইকুপমেন্ট, ভ্যাট, ট্র্যোক্স ও সার্ভিস চার্জ বাধদ সর্বমোট ২৭,৮০,০০০/- (সাতাশ লক্ষ আশি হাজার) টাকা পরিশোধের নিমিত্তে গত ইং ১৬/১০/২০২৪ তারিখ তাদের লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি। এরপর তারা শীঘ্রই আমার সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করবে বলে আশ্বাস দিলেও বিষয়টি সমাধান না আমাকে ঘুরাতে থাকে। এর মধ্যে ১৪/১১/২০২৪ তারিখ ২য় লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করলেও তারা কোন উত্তর না দিয়ে রেস্টুরেন্টটি অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দেয়। আমার পাওনা টাকা চাইলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে রংধনু গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিদিনের বাংলাদেশ নামক পত্রিকা ও তাদের অনলাইনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। যে সব ঘটনা ও অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার সাথে সত্যোর কোন সম্পর্ক নেই। শুধু তাই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। শুধু আমাকেই নয় রংধনু গ্রুপের রেষ্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও নাজেহাল করছে তারা। রংধনু গ্রুপের মালিক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অর্থ যোগানদাতার মধ্যে অন্যতমদের একজন। বিগদ ফ্যাসিষ্ট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এখনো তাদের প্রভাব খাটিয়ে আমার অন্যায়ের স্টীম রোলার চালাচ্ছেন। ছাত্র জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশেও কি তা হলে আমরা ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা পাবো না।
এব্যপারে তদন্ত করে ন্যায় বিচারের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।