Somoy News BD

১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

আজকের ছোট ছোট সোনামণিরা তোমাদের মুখে যে হাসি, চোখে যে স্বপ্ন তোমরাই তো এদেশের ভবিষ্যতের আলো- মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ এসো এসো, মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা- দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে  শুরু হলো বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চত্বরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণের আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বর্ষবরণের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মহাপরিচালক দিলারা বেগম এবং শিশু একাডেমীর শিশু শিল্পিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা উপস্থিত সভাপতি, বিশেষ অতিথি, অভিভাবকবৃন্দ এবং আদরের ছোট ছোট সোনামণিরা সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আজকের ছোট ছোট সোনামণিরা তোমাদের মুখে যে হাসি, চোখে যে স্বপ্ন তোমরাই তো এদেশের ভবিষ্যতের আলো।এই রঙিন দিনে তোমাদের সাথে থাকতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধু একটা তারিখ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি , ভালোবাসা আর আনন্দের প্রতীক।
এই দিনটা তোমাদের মতোই উজ্জ্বল, রঙিন আর প্রাণবন্ত।উপদেষ্টা বলেন, তোমরা জানো, পহেলা বৈশাখ মানে নতুন বছরের শুরু। আমরা পুরনো দুঃখ-কষ্ট ভুলে, নতুন আশা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। ঠিক যেমন তোমরা প্রতিদিন নতুন কিছু শেখো, ঠিক তেমনি তোমাদেরও প্রতিদিন ভালো কিছু করার চেষ্টা করা উচিত।
আমরা আজ যে স্বাধীন গণতান্ত্রিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রে বাস করছি তা একদিনে আসেনি উল্লেখ করে বলেন, এর পেছনে রয়েছে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগ, লড়াই ও সংগ্রাম। এমনকি ২০২৪ সালে এসেও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমাদের অগণিত ছোট্ট ছোট্ট সোনামণি, অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশের নতুন বৈশাখের ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এবারের বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আমাদের জাতীয় জীবনের বয়ে এনেছে নতুন উদ্দীপনা । এই নববর্ষ হোক জুলাই বিপ্লবের নবচেতনার উৎস, যেখান থেকে আমরা শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবো বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে।
আমাদের চাওয়া এই নববর্ষে সবাই মিলেমিশে থাকুক, হিংসা- বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকুক, সামাজিক ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রতিজ্ঞা হোক- আমরা দুর্নীতি , মাদক,  সহিংসতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।  তোমাদের বলব- মন দিয়ে পড়াশোনা করো, মা-বাবার কথা শোনো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করো এবং কখনো কাউকে কষ্ট দিও না। সবসময় সততা, দয়া আর বন্ধুত্বকে বড় করে দেখো । তাহলেই তোমরা বড় হয়ে এ দেশটাকে আরো সুন্দর করে গড়তে  পারবে।

আজকের এই  আয়োজনে- ছড়ায় ছড়ায় বৈশাখ, নাগরদোলা, পুঁথিপাঠ, গম্ভীরা, বাইস্কোপ, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, সংগ্রাই উৎসবের পানি খেলা, নাচ, গান কবিতা সবই তোমাদের আনন্দের জন্য । মন খুলে উপভোগ করো, হাসো , গাও আর একে অপরকে ভালোবাসো। শুভ নববর্ষের এই দিনে তোমাদের জীবন হোক রঙে ভরা,  আনন্দে ভরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

Related Articles

প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন ১৮৯ ও খোলা সয়াবিন ১৬৯ টাকা নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা,প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল এবং পাম তেলের নতুন দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে

আরও পড়ুন

খিচুড়ি খাওয়া নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার : শরীয়তপুর জেলার পালং উপজেলায় খিচুড়ি অনুষ্ঠানে হাকিম  মাদবর গ্রুপ ও মতি চৌকিদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। দীর্ঘ দিন এলাকায় 

আরও পড়ুন

শুভ নববর্ষ ১৪৩২

পহেলা বৈশাখ বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যা সাধারণত ১৪ বা ১৫

আরও পড়ুন

পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোন নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোন নিরাপত্তা হুমকি নেই। পহেলা বৈশাখ আনন্দঘন, উৎসবমুখর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে মহানগরীকে

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও