নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন ও জাহাজ শিল্পসহ মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশিদের বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজ রবিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে একটি আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপথে যাত্রী ও মালামাল বহণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিগত ৫৩ বছরে দেশের বন্দরগুলো কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোন কোন বন্দর কোন কোন কাজ করবে সে বিষয়ে জাতীয় কোনো কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়নি। বন্দরগুলোর কার্যক্রমগুলোকে সমন্বিতভাবে গতিশীল করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্টস স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি মোংলা সমুদ্রবন্দরকে গ্রীণ পোর্টে রূপান্তরিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার সকল প্রকল্পের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন কমিটি গঠনপূর্বক নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোনো অনিয়ম বা গাফিলতি নজর আসলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক সময়ে মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশিদের বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। এক প্রকার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম জনগণের জন্য উন্মুক্ত আছে। বর্তমান সরকার জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে তাই জনগণের জানার অধিকার আছে সরকার তাদের জন্য কী উন্নয়ন করছে। সকল কার্যক্রম ও এ সংক্রান্ত তথ্য জনগণের জন্য অবারিত ও উন্মুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন সরকার থেকে ঋণ গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ সরকারকে পরিশোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দরের একটি প্রকল্পে নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে ২৭১ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে যা নতুন এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। বিগত সময়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে জনগণের জনকল্যাণকর ও দেশের আমদানি-রপ্তানির সুবিধার জন্য যেটি করা প্রয়োজন সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের দেশের উন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতার আহ্বান জানান।