Somoy News BD

২৮শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানী পরিষদের সভাপতি মালা খান গং কর্তৃক বিআরআইসিএম এর বিজ্ঞানি কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকি তুলে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রাক্তন মহাপরিচালক মালা খানকে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা এবং গবেষক মশিউর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, মালা খান একজন চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসর হওয়া সত্ত্বেও, এবং ৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমানের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করার পরও, মালা খান এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআরআইসিএমের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার জাবেদ বিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, “যেই মুহূর্তে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করছি, ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের সহকর্মী এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মালা খানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান মিথ্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাবরণ করছেন। তবে অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রিধারী, দুর্নীতিপরায়ণ এবং গোপন আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা মালা খান এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা ছাত্র জনতার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, তাদের মামলা-হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সমাজের এক কলঙ্ক এবং অভিশাপ মালা খান। দেশের সচেতন গবেষক মহল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অবগত থাকলেও, গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শেখ তাপসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে বিআরআইসিএমের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার পদে নিয়োগ পান এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক পদও বাগিয়ে নেন। এই প্রতারক আওয়ামী সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন।”

জাবেদ বিন আহমেদ আরও বলেন, “৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য মালা খান এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বিআরআইসিএম প্রাঙ্গণে কয়েক দফা বৈঠক করেন। এমনকি বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং রিসার্চ ফেলোরা যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপর ছিলেন, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। তবে সম্প্রতি তিনি আবার গিরগিটির মতো রং পাল্টে অন্য দলের নেতাকর্মীদের পিছনে ছুটছেন।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১২ সেপ্টেম্বর বিআরআইসিএমে মালা খানের দুর্নীতি, জালিয়াতি, টেন্ডারবাজি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিআরআইসিএমের গবেষক মশিউর রহমান। যে কারণে মালা খানের প্রথম টার্গেট হন তিনি। আজ আমরা যারা বক্তব্য দিচ্ছি, তারাও হয়তো টার্গেটে পরিণত হয়ে মশিউর রহমানের মতো হয়রানিমূলক মামলায় কারাবরণের শিকার হতে পারি। আমরা মনে করি, মশিউর রহমানকে মামলায় জড়ানো ওসি মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিনের সঙ্গে মালা খানের যোগসাজশ রয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দ্রুততম সময়ে আমাদের সহকর্মী মশিউরের মুক্তি দাবি করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো:

১. অনতিবিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি দিতে হবে।

২. অনতিবিলম্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

৩. মশিউর রহমানসহ বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের হুমকি-হয়রানির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. হয়রানিমূলক মামলা বাণিজ্যকারী এবং তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মুক্তার আহম্মেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন লিপি, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মনিরুজ্জামান, সাইন্টিফিক অফিসার আয়েশা আক্তার লাবনী, এবং রাইসুল মেহেদী প্রমুখ।

অভিযুক্ত মালা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Related Articles

মোহাম্মদপুরে ক্রয়কৃত দোকান দখলের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখলের ঘটনা ঘটেছে, থানায় অভিযোগ। চলতি মাসের জানুয়ারির ১ তারিখে এই দোকান দখলের ঘটনাটি ঘটে মোহাম্মদপুর শিয়া

আরও পড়ুন

গবিতে নতুন শিক্ষাবর্ষের শপথ গ্রহণ ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

হৃদয় শিকদার : আশুলিয়া প্রতিনিধি ঢাকার সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) জানুয়ারী-জুন ২০২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে

আরও পড়ুন

ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠিত হবে  – আমীর, ইসলামী সমাজ।

মঞ্জুর: ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থা চরম  দুর্নীতি, কারণ মানব রচিত ব্যবস্থায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন কর্তৃত্ব

আরও পড়ুন

বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ‘ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি’ প্রণয়নে জাপানকে সহায়তার আহ্বান: নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের শিক্ষা,

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও