Somoy News BD

২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , সোমবার
ব্রেকিং নিউজ

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর এর বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এর সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো ( Wang Yubo) বৈঠক করেছেন।

আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে  তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন,বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,,বাংলাদেশ ও ইউনান প্রদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।বাংলাদেশ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এদেশে  এগ্রিকালচার ড্রোন সিস্টেম চালু করতে সহযোগিতা , ট্রেনারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি,পেস্টিসাইড ম্যানেজমেন্ট ও খাদ্য শস্য উৎপাদনে এক্সপেরিমেন্টাল প্রকল্প গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনা ভালো। ইউনানের পর্যটন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডমেস্টিক ট্যুরিজম (স্থানীয় পর্যটন) বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা চান তিনি। এসময় বাংলাদেশে ট্যুরিজম অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসতে এবং বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে ইউনানের গভর্নরের প্রতি আহবান জানান উপদেষ্টা।

চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন চমৎকার উল্লেখ করে ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সাম্প্রতিক চীন সফর বাংলাদেশ চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় ইউনান প্রদেশ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি  করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশের অবস্থান বাংলাদেশের নিকটেই।চট্রগ্রাম – কুনমিং  ফ্লাইট চালু হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গতি পাবে। এসময় তিনি ইউনান প্রদেশের  জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্কোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, চীনের ইউনানে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে মৌসুমি ফলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
তিনি বাংলাদেশ হতে আম ও ইলিশ মাছ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, পর্যটকদের কাছে ইউনান প্রদেশ জনপ্রিয় পর্যটন ডেস্টিনেশন হিসেবে পরিচিত।ইউনান প্রদেশে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বছরে সাত শত মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে। ইউনান প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় । এসময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়ন এবং শিক্ষা  ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান,
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রোববার রাষ্টীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে হস্তান্তর করে। প্রতিবেদন গ্রহণকালে প্রধান

আরও পড়ুন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেে বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সহ আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার জন্য জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অভ পিস অপারেশনের আন্ডার সেক্রেটারি

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান জানালেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রোববার জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল জঁ-পিয়ের লাক্রোয়া-এর সাথে স্টেট গেস্ট হাউজ জামুনায় এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের বিনা ঝামেলার ঈদ উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ রোববার রাজধানীর স্টেট গেস্ট হাউজ জামুনায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন প্রধান

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও