Somoy News BD

২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত হবে-আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুর: ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে বিশ্বের মানুষ মানুষের গোলামে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে মানুষের গোলামী করছে। সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় দেশ ও জাতির মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের গোলামী করার কারণে বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে অশান্তির আগুনে জ্বলছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্ত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত হবে। মানুষের গোলামীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর গোলাম হতে পারলেই মূলতঃ স্বাধীনতা অর্জিত হবে। ‘ইসলামী সমাজ’ এর উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় সকল প্রকার ক্ষতি থেকে বাঁচার লক্ষ্যে “মানুষের গোলামী থেকে মুক্তির উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্বের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজ’ই মূলতঃ ইসলামী সমাজ। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন কর্তৃত্ব ত্যাগ করে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব গ্রহণকারী লোকদের নিয়ে আল্লাহর মনোনীত আমীরের নেতৃত্বে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন চলতে থাকলে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় মানব রচিত ব্যবস্থার

ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের পতন ঘটবে এবং তাঁরই বিশেষ সাহায্য ও রহমতে ইসলামী সমাজের নেতৃত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আর তখনি ইসলামী সমাজ পর্যায়ক্রমে ইসলামের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবে। তাহলেই মানুষের গোলামী থেকে মুক্তি লাভ করে মানুষ আল্লাহর গোলামে পরিণত হবে- এটাই মানুষের গোলামী থেকে মুক্তি লাভের উপায় । দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র আল্লাহর গোলাম হওয়ার জন্য ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানান ৷ মানববন্ধন থেকে সকল মানুষের কল্যাণে কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঈসায়ী মাসব্যাপী শান্তিপূর্ণ ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। (১) ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, রবিবার, সকাল ১১ টায় ‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা’র নেতৃত্বে ১২ সদস্য বিশিষ্ট্য প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ‘ইসলামী সমাজ’ এর সম্মানিত আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর সাহেবের লিখিত চিঠি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সাহেবের নিকট তার কার্যালয়ে প্রদান করা হবে, এ লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকাল ১০ টায় প্রতিনিধি টিম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে ইনশাআল্লাহ । (২) ‘ইসলামী সমাজ’ ময়মনসিংহ বিভাগ এর দায়িত্বশীল, জনাব সোলায়মান কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে- ৮ সেপ্টেম্বর হতে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং পর্যন্ত, রংপুর বিভাগ এর দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম রংপুর বিভাগীয় শহরে- ৯ সেপ্টেম্বর হতে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, রাজশাহী বিভাগ এর দায়িত্বশীল, জনাব হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম রাজশাহী বিভাগীয় শহরে- ১০ সেপ্টেম্বর হতে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, খুলনা বিভাগীয় অঞ্চল-২
এর দায়িত্বশীল, জনাব আসাদুজ্জামান বুলবুল এর নেতৃত্বে একটি টিম কুষ্টিয়া জেলা শহরে- ১১ সেপ্টেম্বর হতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-৩ এর দায়িত্বশীল, মোঃ সেলিম মোল্লা’র নেতৃত্বে একটি টিম ফরিদপুর জেলা শহরে- ১২ সেপ্টেম্বর হতে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর নেতৃত্বে একটি টিম নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ১৩ সেপ্টেম্বর হতে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিলি করবে ইনশাআল্লাহ। (৩) ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং ময়মনসিংহ মহানগর, ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগর, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর, ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলা শহর, ২০ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলা শহর এবং ২১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মানবাধিকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ । মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, আসাদুজ্জামান বুলবুল, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ নুরুদ্দিন, সেলিম মোল্লা, আজমুল হক, সাইফুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ ।

Related Articles

ইউনিট সভাপতি নজরুল ইসলাম বিশাল মিছিল নিয়ে কর্মীসম্মেলনে যোগদেন

মোঃসাজ্জাদ হোসেন মোস্তফাঃ আজ সকাল ৯  ঘটিকায় তেজগাঁও রেলওয়ে খেলাঘর সমাজ কল্যান সংঘের মাঠে বাংলাদেশ  জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও থানার আয়োজনে  কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ

আরও পড়ুন

ধামরাইয়ে যাত্রীবাহী বাস ও অটোরিক্সা সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

মো:আল-শাহরিয়ার বাবুল খান:বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এ দুর্ঘটনায় অটোরিক্সার চালক আহত

আরও পড়ুন

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের  মৃত্যুতে ধর্ম উপদেষ্টার শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন

আরও পড়ুন

রেমিট্যান্স এর গতি বৃদ্ধি পেয়েছে

মঞ্জুর:আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে ১৮ই ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যান,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,আন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেবার পর প্রবাসীরা বেশি

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও