নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামীদের সাথে মামলার ভিকটিম মৃত আকবার হোসেন শেখের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দীঘদিন ধরে গ্রাম্য ও সামাজিক দলাদলি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১/০৩/২০২৫ খ্রিঃ আকবার হোসেন শেখ নামের ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিম আকবার হোসেন শেখ লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মিকাইল ওরফে মেকরেজ শেখের ছেলে। ঘটনার দিন গত ইং-৩১/০৩/২০২৫ তারিখ ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর অনুমান ১৪:০০ ঘটিকায় ভিকটিমের বসতবাড়ি থেকে অনুমান ১৫০ গজ পূর্ব দিকে চৌরাস্তায় আসামীগন ভিকটিম আকবার হোসেন শেখ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খুন জখম করার জন্য ওৎ পেতে থাকে। ঐ সময় আসামীরা ভিকটিম আকবার হোসেন শেখ, ভিকটিমের ভাই মোঃ আকরাম শেখ, ছেলে রাসেল, রিয়াজ, পুতা ছেলে শাওনসহ বেশ কয়েকজনকে পেয়ে অর্তকিতভাবে আক্রমন করে। তখন স্থানীয় লোকজন ঠেকিয়ে দেয়। অতঃপর আসামীরা ভিকটিম আকবার হোসেন শেখকে হত্যার করার পরিকল্পনা করে। ভিকটিম চৌরাস্তা হতে তাদের জমি তদারকি করতে চলে যায়। ভিকটিম তাদের উক্ত জমি দেখে মাঠের মধ্য দিয়ে আড়াআগি নিজ বাড়ি ফেরার পথে রওনা করে ইং-৩১/০৩/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১৫:০০ ঘটিকায় নড়াইল জেলার লোহাগড়া খানাধীন লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামস্থ জনৈক আতিয়ার রহমান, পিতা-মৃত সামাদ নায়েব এর আবাদী জমিতে পৌছানো মাত্র পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে এজাহারনামীয় আসামীগন তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে ভিকটিম আকবার হোসেন শেখের পথরোধ করে ঘিরে ধরে। তখন ০২নং আসামী-মোঃ জাকারিয়া মোল্যা বলে কামরান হুকুম দিছে হত্যা করতে। যতো টাকা লাগে আমি দেব। আমাদের সাথে বিরোধিতা করার সাধ মিটায়ে দে। হত্যা করে লাশ মাঠের মধ্যে ফেলে রাখ। উক্ত হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে এজাহারনামীয় সকল আসামীরা ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা কোপাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ১০নং আসামী-সাদ্দাম তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের ডান পায়ের পিছনে কোপ মেরে গভীর কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিম আকবার হোসেন শেখ ডাক-চিৎকার করতে থাকে। ডাক-চিৎকার শুনে ভিকটিমের ভাই আকরাম শেখের বাড়ী থেকে এজাহারনামীয় সাক্ষীগণসহ আরো অনেকে ছুটে যায় এবং ঘটনা দেখে চিৎকার চেচামেচী করতে থাকে। তখন আসামীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। সাক্ষীরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিকটিমের ভাই এর বাড়িতে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের স্রি ো ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহম্মদপুর, মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা করে একই তারিখ বিকাল অনুমান ১৬:১৫ ঘটিকার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহম্মদপুর, মাগুরা পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে দেখে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্রিাল বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর সাথে সাথে নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব কাজী এহসানুল কবীর মহোদয়ের নির্দেশনায় অত্র এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই(নিঃ) নিক্কন আঢ্য সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে অদ্য ০৭ এপ্রিল (সোমবার) অত্র মামলার এজাহার নামীয় ৩ নং আসামী মোঃ জাকারিয়া মোল্যা ওরফে জাকির হোসেন (৫৫), পিতা-মৃত রোস্তম মোল্যা, সাং-লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া, থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইল ও ১০নং আসামী- সাদ্দাম হোসেন ওরফে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩২), পিতা-মৃত মাফুজার রহমান মোল্যা, সাং-লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া, থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইলদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপে অত্র এলাকার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।