Somoy News BD

১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করা বাঞ্ছনীয়ঃশারমিন এস মুরশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সমাজের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে দুটি মেলার আয়োজন করতে চাই। যাতে এই মিলনমেলায় ছেলে-মেয়েদের নানা অভিযোগ জানাতে পারবে, সবাই মিলে তাদের অভিযোগের কথা, মনের কথা খুলে বলতে পারবে। সবাই জানবে এই মন্ত্রণালয় জনমানুষের জন্য কি কি কাজ করে।  এজন্য আমি কাঠামোগত জায়গায় একটি শক্তি সঞ্চয় করে তা তৈরি করে দিয়ে যাবো।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে কথা বলো নারীরা আয়োজনে সংকট ও সম্ভাবনাময় নারীর চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মত বিনিময় সভায় কথা বলো নারীর আহবায়ক নুসরাত হকের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র  উমামা ফাতেমাসহ জুলাই আন্দোলনে সহযোদ্ধারা বক্তৃতা করেন।

উপদেষ্টা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে অর্জন করা যায়, হয়তো সমাজকেও পরিবর্তন করা যায় কিন্তু যে জায়গাটা বিশপ কঠিন, সেটা হচ্ছে নারী- পুরুষের জায়গায় আমরা যখন সমতার কথা ভাবি তখন সহিংসতা দেখি। তিনি বলেন, ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে মেয়েরা যেভাবে সাহসী ভূমিকায় নেমে এসেছিল ২৪ এর গণ আন্দোলনেও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সাহসী ভূমিকায় নেমে এসেছিল। মেয়েরা স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্যামিলি প্ল্যানিং কাজে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সামাজিক শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জুলাই কন্যাদের সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং ত্যাগ আমাদের শেখায় কিভাবে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় এবং কিভাবে পরিবর্তন সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সাইবার সেফটি তৈরির ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেয়েদেরকে আমি দেখতে চাই। সমাজে যদি আমরা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে কিভাবে একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠবে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নারীদের জন্য একটি বার্তা যে, তাদের জীবন, অধিকার এবং মর্যাদা কেবল রক্ষা করাই নয়, সেটিকে আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করাও আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশব্যাপী জুলাই বিপ্লবের মেয়েদের এবং ছেলেদের নিয়ে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করে সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Related Articles

মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় আপন ভাগ্নের হাতে খুন হন দুই বোন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও হত্যার আলামত জব্দ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-মিরপুর বিভাগ। গত

আরও পড়ুন

ছিনতাইকালে একাধিক মামলার আসামী দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মতিঝিল থানা পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হয় একাধিক মামলার আসামী দুই পেশাদার ছিনতাইকারী। গ্রেফতারকৃতরা হলো-১। মনির হোসেন ওরফে নিরব (৩০)

আরও পড়ুন

কোতয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান; মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার -১৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman