Somoy News BD

১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় আপন ভাগ্নের হাতে খুন হন দুই বোন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও হত্যার আলামত জব্দ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-মিরপুর বিভাগ।

গত শুক্রবার (৯ মে ২০২৫ খ্রি.) দুপুর ১২:৫০ ঘটিকার পর রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ভাড়া বাসায় খুন হন মরিয়ম বেগম ও তার বোন সুফিয়া বেগম। উক্ত ঘটনায় মরিয়ম বেগমের মেয়ে বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ডিবি-মিরপুর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিহতদের আপন ভাগ্নে মো. গোলাম রব্বানী খান ওরফে তাজ (১৪) গত ৯ মে ২০২৫ খ্রি. বেলা অনুমান ১২.৫০ ঘটিকার সময় শেওড়াপাড়ায় তার বড় খালা মরিয়ম বেগমের বাসায় যায়। তার বড় খালা (মরিয়ম বেগম) তাকে আপ্যায়ন করার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং সেজো খালা (সুফিয়া বেগম) প্লেট বাটি ধোয়া মোছা করে বারান্দার দিকে যায়। এ সুযোগে সে বড় খালার রুমে টিভির পাশে রাখা মানিব্যাগ থেকে পুরাতন সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা চুরি করে। চুরির ঘটনা ধরা পড়লে বড় খালা মরিয়ম তাকে বকাবকি করেন এবং তার মাকে জানানোর কথা বলে এবং তার মাকে ফোন করার জন্য মোবাইল ফোন খুঁজতে থাকে। সে মুহূর্তে তাজ ডাইনিং টেবিলে থাকা লেবু কাটার ছুরি দিয়ে প্রথমে বড় খালার পেটে আঘাত করে, আঘাত প্রাপ্ত হলে মরিয়ম বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মারতে উদ্যত হলে সে পুনরায় আঘাত করে। তার বড় খালার চিৎকার শুনে সেজো খালা (সুফিয়া বেগম) পাশের রুম হতে এসে তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকেও একই চাকু দিয়ে পেটে একবার আঘাত করলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এরপর অভিযুক্ত তাজ রান্নাঘর থেকে শিল-নড়া এনে তার বড় খালা ও সেজো খালার মাথায় কয়েকবার আঘাত করে। তারপর সে টয়লেটে গিয়ে তার হাতে ও মুখে লেগে থাকা রক্ত পানি দিয়ে পরিষ্কার করে। এরপর পাশের রুমে গিয়ে তার রক্তমাখা টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পাল্টে খালাতো বোন মিষ্টির ব্যবহৃত একটি জিন্স প্যান্ট ও তার ব্যাগে থাকা আরেকটি রঙিন টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে নেয়। পরবর্তীতে সে বাইরে থেকে দরজা লক করে চাবি নিয়ে একটি সিএনজি করে শনির আখড়ার উদ্দেশে রওয়ানা করে।

ডিবি-মিরপুর বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ, নিবিড় তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনায় জড়িত মো. গোলাম রব্বানী খান ওরফে তাজ (১৪) এর অবস্থান শনাক্ত করে রবিবার (১১ মে ২০২৫ খ্রি.) ভোর আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকায় ঝালকাঠি জেলার সদর এলাকায় তার নানা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রক্তমাখা কাপড়, জুতা এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে রক্ত মাখা নীল রঙের টি-শার্ট, রক্ত মাখা দুটি জিন্স প্যান্ট (এর মধ্যে একটি তার ও একটি তার খালাতো বোন মিষ্টির) ।

গ্রেফতারকৃত তাজকে সোমবার (১২ মে ২০২৫ খ্রি.) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

Related Articles

ছিনতাইকালে একাধিক মামলার আসামী দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মতিঝিল থানা পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হয় একাধিক মামলার আসামী দুই পেশাদার ছিনতাইকারী। গ্রেফতারকৃতরা হলো-১। মনির হোসেন ওরফে নিরব (৩০)

আরও পড়ুন

কোতয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান; মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার -১৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করা বাঞ্ছনীয়ঃশারমিন এস মুরশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করা

আরও পড়ুন

চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman