মঞ্জুর:লীজকৃত সম্পত্তি থেকে অবৈধ ভাবে উচ্ছেদ ও মালা-মালের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদে গতকাল ১৫ জুলাই ২০২৪, জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খা হলে শেখ এশিয়া লিঃ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শেখ এশিয়া লিঃ এর ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে, সেনাকল্যান ভবনের পাশে ৩৬ সতাংশ জমি সুরুজীত বসু রাজু নামীয় ব্যাক্তি বিক্রয়ের মনস্থির করিলে আমাদের প্রতিষ্ঠান শেখ এশিয়া লিমিটেড এর প্রতিনিধীর সাথে যোগাযোগ করে, তাহার প্রেক্ষিতে শেখ এশিয়া লিমিটেড এর কর্মকর্তাগন উক্ত জমিটি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৩ অক্টোবর ২০২২ইং সনে উক্ত জমির বায়না হিসেবে ৬০ লক্ষ টাকা রাজু বসুর নিকট হস্তান্তর করে যাহা ৩০০ (তিন শত) টাকার বায়নানামা দলিল হিসেবে আমাদের নিকট সংগৃহীত আছে, যাহার দাগ সিএস দাগ নংঃ ৪৩৩, কিন্তু অতীব দঃখের বিষয় জানতে পারি যে সাবেক শহর ঢাকা মৌজার সুরজীত বসু রাজুর দাবীকৃত ৪৩৩ দাগটি নিয়ে আলোচনা করি এবং প্যান্ট্যাগ্রাফ করে দেখতে পাই সুরজীত বসু রাজুর দাবিকৃত ৪৩৩ দাগটি সেনা কল্যানের সামনে থেকে উটের খামার যাওয়ার পথে পাকা রাস্তাটি তার দাগ, সে ভূমি জরিপের লোকজনের সাথে যোগ সাজস করে আইনউদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াক্ফ এস্টেট এর সহর ঢাকা মৌজার ৩৭১ দাগটির তাহার নামে হালে মহানগর খতিয়ান খোলে যাহার দাগ নং ২৮৭১, উক্ত জমিটির মালিক সুরুজীত বসু রাজু নয়, প্রকৃতপক্ষে জমিটি ওয়াক্ফ সম্পত্তি। জানতে পেরে জনাব, আবুল কালাম আনসারী (জামাল) অফিসিয়াল <span;>মোতাওয়াল্লী আইনউদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াক্ফ এস্টেট, ই.সি নং- ৪১১/সি, ঢাকা এর নিকট থেকে ৩০ কাঠা লীজ গ্রহণ করি এবং মোতাওয়াল্লী সাহেব উক্ত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষন মামলা মোকদ্দমা পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে অর্পন করেন। যাহা জিলা- ঢাকা, থানা- সাবেক কোতয়ালী, বর্তমান- মতিঝিল, মৌজা- শহর ঢাকা, সাবেক জে. এল নং- ৩৪৩, সি.এস সিটি নং- ২২, সাবেক ওয়ার্ড নং- ০৩, সি.এস খতিয়ান নং- ৪৩০০ জ, সি.এস দাগ নং-৩৭১, ভূমির পরিমাণ- .৯৪০০, আর.এস দাগ নং- ২২২৮, ২২৩৩, যাহার সিটি জরিপ খতিয়ান নং- ১, সিটি জরিপ দাগ নং- ২৮৯১/২৮৭১ অংশ, ভূমির পরিমাণ-১৪০০, সিটি জরিপ খতিয়ান নং- ৩২, সিটি জরিপ দাগ নং- ২৮৭১ অংশ, ভূমির পরিমান- .৮৩৮৮, সিটি জরিপ খতিয়ান নং- ৭৪, সিটি জরিপ দাগ নং-২৮৭০ অংশ, ভূমির পরিমাণ- .২৯৭৪। মোট ভূমির পরিমাণ- ১.২৭৬২ (এক একর সাতাস সতাংশ বাসট্টি অযুতাংশ)। উক্ত দাগের সম্পত্তি লীজ গ্রহণ করার পরে আমি সুরুজীত বসু রাজু জানাই আপনি আপনি যে সিএস দাগ নংঃ ৪৩৩ দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন তা এই সম্পত্তি নয়, এই সম্পত্তির সিএস দাগ ৩৭১। এখানে উল্লেখ থাকে যে ২৮৭০ দাগের কিছু অংশ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ৩৭১ সি এস দাগের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, যাহার রেকড সংশোধনের জন্য মামলা চলমান (সংসধনী মামলা বিচারাধীন মাননীয় বিজ্ঞ ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, মামলা নাম্বারঃ ৩০৭/২০২৪) উক্ত মামলার কপি কোর্ট থেকে ডাক বিভাগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার ভূমি, শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ন জিও সেবায়েত, ইসলামী ব্যাংককে প্রেরণ করা হয়। আমার লীজকৃত সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য রাজু বসু তার ভাড়াটে লোকদের কে দিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যাহার প্রেক্ষিতে মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি, পরবর্তীতে ০৯/০৬/২০২৪ইং তারিখে বেলা ১২ টার দিকে কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জমি পরিদর্শন করে আসার পথে তাকে লক্ষ করে ৬ রাউন্ড গুলি করে যাহার ৩ রাউন্ড গুলি গাড়িতে বিদ্ধ হয় এবং উক্ত বিষয়ে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয় । এর পরে আবুল কালাম আনসারী (জামাল) অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী আইনউদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াক্ফ এস্টেট এর বাসায় গিয়ে একই ভাড়াটে অপরাধিরা তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করে এবং বিভিন্ন লোক মারফৎ মিথ্যা (মানব পাচার) মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে যাতে ঢাকা জেলায় অবস্থিত উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট এর সম্পত্তি জবরদখল-ভোগ দখল করতে পারে । রেকড সংসধনী মামলা মাননীয় বিজ্ঞ ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন, মামলা নাম্বারঃ ৩০৭/২০২৪, মামলা চলাকালীন থাকা অবস্থায় আমাদের প্রতিপক্ষ ব্যাক্তিবর্গ হিন্দু কল্যান ট্রাষ্টকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে ৪৩৩ সিএস দাগের পরিবর্তে ৩৭১ সিএস দাগের জমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমনা সার্কেলের উপস্থিতিতে গত ১৩/০৭/২০২৪ইং তারিখে আমার ২-৩ (দুই-তিন) কোটি টাকার পাকা স্থাপনা (দোকানপাট ভেঙ্গে প্রাচীর নির্মান করে জায়গা দখলকরে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শেখ মহি উদ্দিন, সাইদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মোঃ আনিসুর রহমান প্রমুখ।