মঞ্জুর:তাবলিগ জামাতের চলমান সমস্যা সমাধান করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন সাদপন্থি মুসল্লিরা। তারা সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন। এতে তাবলিগের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরের নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদে সাদপন্থিদের ইবাদাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করেছে তাবলিগের এই পক্ষটি। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন সাদপন্থি পক্ষের মাওলানা শফিক বিন নাঈম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য আমরা মর্মাহত। আমরা লক্ষ্য করেছি, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক আলেমরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন। সারা দেশে অহিংস ও শান্তিপ্রিয় তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সাথীদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ হচ্ছে।” মাওলানা শফিক বিন নাঈম বলেন, “মামলা ছাড়াই সাথীদের গ্রেপ্তার, বিভিন্ন মসজিদে সাথীদের নামাজ ও ইবাদত করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় একদল উগ্রপন্থীরা বাসাবাড়িতে গিয়েও তাবলিগের সাথীদের মারধর করছেন। অন্যায়ভাবে একপক্ষের মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিদেশি মেহমানমানদের ওপরও তারা হামলা করছেন।” তিনি আরও বলেন, “গত ২০ ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত জোড় (পুরানা তাবলীগের সাথীদের বাৎসরিক সম্মেলন) করার লক্ষ্যে ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলেন। যেকোনো সংঘাত এড়াতে আমরা ইতোপূর্বে প্রশাসনকে বারবার অবহিত করে ৩৬টি চিঠি দিয়েছি। তাছাড়া যোবায়েরপন্থি ও হেফাজতের নেতাদের কাছে আমরা শান্তি ও সমঝোতার প্রস্তাব জানিয়েছি। কিন্তু তারা সমঝোতা করেননি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও আমাদের তাবলিগের সাথীদের পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে তারা প্রকাশ্যে অপহরণ করে কাকরাইল মসজিদে নিয়ে নির্যাতন করেছেন।” সংবাদ সম্মেলন থেকে ১০ দফা দাবিও তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে – তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির হজরত মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারী সব মুরুব্বিদের নামে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। মুয়াজ বিন নূরকে অতিসত্বর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমা ও সারা বাংলাদেশে মসজিদভিত্তিক তাবলিগের কাজকে সমান অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তাবলিগের যেকোনো বিষয়ে হেফাজত বা “জোবায়েরপন্থি”রা এক পক্ষের ব্যক্তিদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পরিহার করতে হবে। সঠিক সময়ে আমাদের কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গী ইজতিমা ময়দান বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের বিশ্ব ইজতেমার নির্দিষ্ট তারিখে ইজতেমা অনুষ্ঠান করার সকল কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে “জোবায়েরপন্থি” ও হেফাজত-কর্মীরা নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের ওপর যে জুলুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে, সেসবের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বার বার তাবলিগের সাথীদের এমন সংঘর্ষ করতে না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া তাবলিগের উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিদেশ থেকে আসবেন – এমন মেহমানদের ভিসাসংক্রান্ত যাবতীয় ইন্তিজাম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সারাদেশে তাবলিগের সাথীদের পরিচালিত মসজিদ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরীহ ছাত্র ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো অবস্থায় সাধারণ মুসল্লি, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব হামলা ও উগ্রপন্থার কাজে মাদরাসার অবুঝ ছাত্রদের ব্যবহার করা যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জরুল হক, মাওলানা মাসুদুল হক, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১ হেক্টর বনভূমি জবরদখলমুক্ত, সাভারে ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা বিটে যৌথ অভিযানে ১ হেক্টর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে। আজ ২৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বন বিভাগ ও