Somoy News BD

২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

সীমানা নির্ধারণ করে বন রক্ষা, বালু-দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  বলেছেন,  চুনতি অভয়ারণ্যের সীমানা নির্ধারণের কাজ এখন চলছে। বালু উত্তোলন ও বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় বালু উত্তোলন হয়, সেখানে এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে কেউ ঢুকতে বা বেরোতে না পারে।

আজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বন বিভাগের চট্টগ্রাম সার্কেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, অচিরেই একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা হবে।
তিনি আরও বলেন, সীমানা নির্ধারণের পর বিদ্যমান বন রক্ষায় জোর দেওয়া হবে। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, একসময় হাতির দাঁত ও হাড়ের জন্য হাতি মারা হতো। এই ধরনের অর্গানাইজড ক্রাইম রোধে প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো হবে।

উপদেষ্টা বলেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বের সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হবে। বন রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অপরাধ দমনে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।

এর পরে উপদেষ্টা, চট্টগ্রামের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন এলাকার পাহাড় কাটা ও অবৈধ দখলের স্থানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।এরপর তিনি, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন।  এসময় তিনি পার্কের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, প্রাণীদের আবাস, চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি পার্কে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও দর্শনার্থীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী পাচার ও অবৈধ শিকার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বিভাগীয় বন কর্তকর্তা, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ইন্টারনি খোলার ব্যবস্থা করা হবেঃ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ

মোঃআশরাফুল আলম মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ  সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বেগম রোকেয়ার রাষ্ট্র ও সমাজ

আরও পড়ুন

সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন:পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়—এটি সত্য, ন্যায় এবং

আরও পড়ুন

অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ইতালি সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতার সফর: কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতিতে উচ্ছ্বসিত নারী ক্রীড়াবিদরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি ভীষণরকম আশাবাদী ও উচ্ছ্বসিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে সফররত চার নারী

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman