Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

আজ দুপুরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে শারদীয় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা ২০২৪ উপলক্ষ্যে সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ড. খালিদ বলেন, বংশানুক্রমিকভাবেই আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও বিভিন্ন উপজাতির মানুষ  যারা এদেশে বসবাস করে তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। আমরা অন্যদেরকে আমাদের অন্তরে স্থান দিতে পারিনা। আমরা প্রচন্ডরূপে আত্মকেন্দ্রিক। এই অচলায়তন ভেঙে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পূর্বের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুইকোটি বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এবছর চারকোটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া, এবারই প্রথম প্রথাগত নিয়ম ভেঙে দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। আবহমানকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করে থাকে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এবছরও তারা আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারবে। এলক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ইতোমধ্যেই বেশকিছু মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি মন্দিরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। পরবর্তীতেও আমি বিভিন্ন উপাসনালয় পরিদর্শনে যাব। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছি, আগামীদিনেও আমরা এটা রক্ষা করব।

উপদেষ্টা বলেন, পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ আমাদেরকে ছোট করে দেয়। বাংলাদেশ আমাদের সবার।  সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সকলের অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যেসকল দুর্বৃত্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চাই তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।

সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিবাস চন্দ্র মাঝি’র সভাপতিত্বে এতে  বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার ও সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান তপন মজুমদার প্রমূখ। এসময় অন্যানের মাঝে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব সমীর গুপ্ত, সদস্য প্রণীতা সরকার

পরে উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বী দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।

Related Articles

শিশু শ্রম নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শিশু শ্রম নিরসনে প্রয়োজন সকল মন্ত্রণালয়ের

আরও পড়ুন

জনগণকে কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মন জয় করা। এদেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ

আরও পড়ুন

বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পেশাদার মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর

আরও পড়ুন

দূষণের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান: জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

<span;>নিজস্ব প্রতিবেদক: <span;>আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট তিনটি ভিন্ন দূষণের ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে। <span;>কদমতলী ও সাভার এলাকায়

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman