Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

স্থানীয় প্রশাসনকে নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে বাঁচাতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ নদীবিধৌত দেশ। এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নদ-নদীর উপর নির্ভরশীল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য উন্নয়নের নামে নদ-নদী খালবিল দখল করা হয়েছে। নদীকে বাঁচাতে হলে দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে  হবে। নদী বাঁচানোর এখনই উপযুক্ত সময়। অন্য সময় করতে হলে স্বার্থের সংঘাত শুরু হবে।

তিনি আজ রাজধানীর পানি ভবনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের নদ-নদী সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য কালে এসব কথা বলেন।

নদী বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, এই শীত মৌসুমেই বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। নদী তীরবর্তী সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে নদ-নদী খালবিলের দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে বাঁচাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। উচ্ছেদ করার পর আবারো দখল হচ্ছে। নদী হতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে তৈরি নগরীর ড্রেনগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, উন্নয়নের নামে খালগুলো ভরাট করে ড্রেন বানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দখল হয়ে গেছে। অসম্ভব রকমের নদী দূষণ হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীসহ অন্যান্য বড় বড় নদী নাব্যতা হারিয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। হারিয়ে যাওয়া শৈশবের সেই অতি পরিচিত মৃতপ্রায় নদীগুলোকে বাঁচাতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে হবে। এ সময় খাল আর নদীকে পৃথকভাবে সংজ্ঞায়িত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

বুদ্ধপূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষ্যে সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনঃশারমিন এস মুরশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন,  বুদ্ধপূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষ্যে সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান বাণিজ্য উপদেষ্টার

১১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ রবিবার (১১ মে )

আরও পড়ুন

উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী,

আরও পড়ুন

আইইবি দখলবাজ কর্তৃক পুলিশী ছত্রছায়ায় সমাবেশ পন্ড করার প্রতিবাদে  সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর: আইইবি দখলবাজ কর্তৃক পুলিশী ছত্রছায়ায় বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে শান্তিপূর্ণ প্রকৌশলী মহাসমাবেশে নগ্ন হামলা, সম্মানিত প্রকৌশলীদের যখম ও সমাবেশ পন্ড করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman