বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
গত সপ্তাহে সময় নিউজ বিডি অন লাইন
নিউজ পোর্টালে”উত্তর চিংড়া খালী খান বাড়ি জামে মসজিদের নামকরন নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিহিংসা”শিরোনামে একটি
নিউজ প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়েচড়ে
বসে।স্হানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক
আলোচনা শুরু হয়।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী খানবাড়ি জামে মসজিদে নামকরণ নিয়ে চলমান বিরোধ ও জুমার নামাজে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসন তদন্তে এগিয়ে আসে। তবে, গত শুক্রবার (০৯/০৫/২০২৫) জুমার নামাজের সময় আবারও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই শতবর্ষী মসজিদটি স্থানীয় খান পরিবার ও মুসল্লিদার অর্থায়নে নির্মিত এবং দলিল, ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও গুগল ম্যাপে “খানবাড়ি জামে মসজিদ” নামে নথিভুক্ত। তবে একটি গোষ্ঠী দাবি করছে, মসজিদের নাম পরিবর্তন করতে হবে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও, অভিযোগ রয়েছে যে বিবাদী পক্ষ নিয়মিতভাবে মসজিদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
গত শুক্রবার পুলিশ গোপন তদন্তে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজের সময় মোঃ কিসলু কাজী ও আমিনুল ইসলাম জুলহাস সরদার সহ কয়েকজন হুংকার দিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। পুলিশ তাদের আইন মানার নির্দেশ দিলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠী প্রতি জুমায় ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং খান পরিবারসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি দেয়।
অত্যাচারিত ব্যক্তিরা হলোঃ
১। মোঃ মুন্না কাজী, পিতা মৃত- আক্তারুজ্জামান (চান) কাজী।
২। মোঃ কিছলু কাজী, পিতা মৃত মোজাফফর হোসেন, মোবাঃ
৩। মোঃ আমিনুল ইসলাম সরদার( জুলহাস) পিতা- মৃত লুৎফর রহমান, মোবাঃ
৪। মোঃ সায়েম সরদার, পিতা- মৃত সেকেন্দার আলী, মোবাঃ
৫। মোঃ মজিবর রহমান শিকদার, পিতা মৃত- ইসমাইল হোসেন,
৬। মোঃ খোকন শিকদার,পিতা মৃত- হাতেম আলী,
৭। মোঃ শান্ত কাজী, পিতা- মোঃ ফারুক কাজী,
২০২৫ সালে মসজিদের জমিদাতা মৃত হাবিবুর রহমান খান-এর সন্তান ও সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান (বর্তমান সভাপতি)-এর বাড়িতে হামলা করা হয়, যা আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া, খান পরিবার ও মুসল্লিদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের আবেদন
মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা চেয়েছেন:
১. মসজিদে পুলিশি পাহারা বাড়ানো।
২. বিবাদী পক্ষের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ।
৩. মামলার চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। পুলিশ উভয় পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আহ্বান, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা রক্ষায় সহযোগিতা করতে।