Somoy News BD

২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার
ব্রেকিং নিউজ

সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪ হাজার হেক্টর পুন:বনায়ন, বাড়ছে জীববৈচিত্র্য, স্বাবলম্বী হয়েছে মানুষ — পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

মোঃআশরাফুল আলমঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকাসমূহ (SUFAL) প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ১লক্ষ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার, ২১ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বন ও জীবিকা (SUFAL) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বন অধিদপ্তরে ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে ‘সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ’ টুল সফলভাবে চালু করা হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক বন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে। এছাড়া তিনি জানান, ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫টি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতীয় সংরক্ষণ কৌশল ও Sharks and Rays-এর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ, এবং চারটি শার্ক ও রে প্রজাতির জন্য Non-Detriment Findings (NDF) প্রস্তুতকরণ wildlife trade ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

উপদেষ্টা জানান, ৬১৫টি যৌথ বন ব্যবস্থাপনা (CFM) প্রতিষ্ঠানে ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল (COM)’ কার্যকরভাবে চালু করা হয়েছে, যা ৪১ হাজারের অধিক বননির্ভর মানুষকে সরাসরি উপকৃত করেছে। প্রতিটি CFM উপকমিটিতে নারীর ৫০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বন শাসনে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে সব ধরনের কার্যক্রম—বনায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্যোগে—পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা সংযোজন করা হয়েছে এবং ই-জিপি (e-GP) পদ্ধতিতে সকল পণ্য ও কাজের ক্রয় সম্পন্ন হওয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বিশ্বব্যাংকের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল বন ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয় তার অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে বজায় রাখবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব খায়রুল হাসান, যুগ্ম সচিব মিজ লুবনা ইয়াসমিন, প্রধান বন সংরক্ষক জনাব আমির হোসেন চৌধুরী, SUFAL প্রকল্প পরিচালক জনাব গোবিন্দ রায় এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি Christian Albert Peter, Anna C. O’Donnell, ড. ইস্তিয়াক সোবহান, Margaret Armold, Bushra Nishat ও Jihae Kwon।

Related Articles

অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চা রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চা রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এসময় তিনি চা শিল্পকে শুধু দেশে নয়

আরও পড়ুন

“কৃষির জন্য নেয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা”

মোঃআশরাফুল আলমঃ কৃষি উৎপাদনকে টেকসই ও যুগোপযোগী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে এ

আরও পড়ুন

যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

মোঃআশরাফুল আলমঃ অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়ার

আরও পড়ুন

মিরপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০০ একর জায়গা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় মিরপুরের গোড়ান-চটবাড়ি পন্ডিং এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার অধিগ্রহণকৃত  জায়গা হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ১০০ একর

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman