নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
Advancing Decent Works in Bangladesh শীর্ষক প্রকল্পের ১ম PAC কমিটির সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন দেশের শ্রম আইন আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হচ্ছে।
আজ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “আইএলওর সহায়তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও শ্রম আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ আয়োজন কাজ করা হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, জাতীয় মজুরি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ত্রিপক্ষীয় সংলাপের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) ও অন্যান্য খাতে নারী ও যুব শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। ট্যানারি, গার্হস্থ্য পোশাক উৎপাদন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেলাই শিল্পে শিশুশ্রমের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তা করা হবে। এছাড়া, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত দুর্ঘটনা, রোগ বা মৃত্যু ক্ষেত্রে আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষত নারী শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।
আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, “বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সরকার ও অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। RMG খাতের সাফল্য অন্য শিল্পেও পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছি।”
সভায় আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর, শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, কানাডা ও ডেনমার্ক দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং শ্রম অধিদপ্তর ও কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।