Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

আল কুরআন বিরোধী সংবিধান প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষ দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে – আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুরঃ
আজ,মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায়, ইসলামী সমাজের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে শান্তিপূর্ণ গণ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ গণ মিছিল চলাকালীন বিভিন্ন  গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায়

ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীনে বন্দি হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আল কুরআন বিরোধী সংবিধান গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সার্বভৌমত্বের মালিক দাবী করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন কর্তৃত্বের সাথে বিদ্রোহ করে তাঁরই প্রদত্ত ব্যবস্থা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে ভয়াবহ আযাব-গজবের মুখোমুখি অবস্থান করছে। গণতন্ত্র মেনে চলার কারণে দুর্নীতি ও বৈষম্যসহ হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস ইত্যাদির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে, যা মূলত দেশ ও জাতির মানুষের জন্য মহাক্ষতি।

গণ মিছিলের সমাপ্তিস্থল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা, জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর আরও বলেন, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তাসহ সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ এবং সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার সু-ব্যবস্থা করতে হলে আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের মূলোৎপাটন করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে এবং দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। গণতন্ত্রের অধীনে জোট-ভোট ও নির্বাচন বা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়! ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত জাহিলি সমাজের বিপরীতে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলনই আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক পদ্ধতি।

কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে দল, মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের এবং এরই ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী সকল অবৈধ নেতাদের আনুগত্য অস্বীকার করে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহবান জানান। উক্ত শান্তিপূর্ণ গণ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের সর্বস্তরের দায়িত্বশীল, সদস্য ও সদস্যাগণ।

Related Articles

শুরু হয়েছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ এর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উদ্যোগ ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন আহ্বানের পর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার

আরও পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। <span;>শনিবার (১৭ই মে)

আরও পড়ুন

আমরা ভারতের মতো পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি(শ্যামনগর)ঃ আমরা ভারতের মতো কাউকে পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণাকে গ্রহণ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণা গ্রহণ করে ঋণগ্রহিতাকে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার রাজধানীর

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman