নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা আজ একটি পেশেন্ট ফোরামের আয়োজন করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। রোগী, রোগীদের পরিবার এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই ফোরামটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডা. রত্নাদ্বীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার এবং অর্থোপেডিক্স বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং বিভাগীয় প্রধান ডা. এম. আলী ।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা হাঁটুর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিস সম্পর্কে আলোচনা করেন। দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে কীভাবে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো যায় তা তুলে ধরা হয়। ডা. এম. আলী এভারকেয়ার হসপিটালের হাটু প্রতিস্থাপন চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে আলোকপাত করেন, যেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এ পর্যায়ে রোগীদের সার্জারি পরবর্তী সার্বিক ব্যথা নিরাময় ও পুনর্বাসন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। হাটু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া রোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যা ফোরামের অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করে।
ডা. এম. আলী বলেন, “আমাদের জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে আমরা রোগীদের জন্য সর্বোত্তম ও ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করি। হাটু প্রতিস্থাপন হাঁটুর ব্যথার স্থায়ী সমাধান এবং এটি রোগীদের আত্মবিশ্বাস, গতিশীলতা এবং স্বাভাবিক জীবনের আনন্দ ফিরে পেতে সাহায্য করে। হাটু প্রতিস্থাপন শুধুমাত্র একটি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি মানুষের জীবনকে নতুন করে গড়ার একটি মাধ্যম।”
ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, “এভারকেয়ার শুধুমাত্র চিকিৎসা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়, আমরা রোগীদের জীবনমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাটু প্রতিস্থাপন এমন একটি সমাধান যা রোগীদের নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেয়। আমরা গর্বিত যে আন্তর্জাতিক মানের এই সেবাটি আমরা বাংলাদেশে প্রদান করছি। এজন্য আমরা বেসরকারিভাবে দেশে প্রথম আর্থপ্লাসটি ইউনিট গড়ে তুলেছি যার মাধ্যমে এই ধরনের রোগীদের সঠিক সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের শেষে রোগী এবং তাদের পরিবার বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবাই এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং জানান এটি তাদের জন্য অত্যন্ত তথ্যবহুল ও অনুপ্রেরণামূলক ছিল। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ভবিষ্যতেও এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের মাঝে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।