Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

গণতন্ত্রসহ মানব রচিত কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব – আমীর, ইসলামী সমাজ। 

মঞ্জুর: ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে গণতন্ত্র নর। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে ইসলামের পরিবর্তে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কোন না কোন মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে, যার কারণে মানুষ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, মানব রচিত সকল ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব মানুষের বিধায় এসবই মূলতঃ চরম দুর্নীতি। ইসলাম’ই একমাত্র নীতি ও আদর্শ একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নামক দুর্নীতি দ্বারা দীর্ঘকাল পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত এবং পরিচালিত হচ্ছে বিধায়; মানুষের জীবনে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার
মূলোৎপাটন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে একমাত্র ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করতে পারলেই দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে।

‘ইসলামী সমাজ’ এর উদ্যোগে  ৫ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী দারিত্বশীল জনাব আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ্ এর সঞ্চালনায় “দুর্নীতি ও বৈষম্য যুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র পঠনে গণতন্ত্র নয়। ইসলাম প্রতিষ্ঠা’ই একমাত্র পথ” শীর্ষক এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি ঘোষণায় লক্ষ্যে- অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্বের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজ’ই মূলতঃ ইসলামী সমাজ। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন কর্তৃত্ব ত্যাগ করে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব গ্রহণকারী
লোকদের নিয়ে আল্লাহর মনোনীত আমীরের নেতৃত্বে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন চলতে থাকলে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় মানব রচিত ব্যবস্থায় ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের পতন ঘটবে এবং তাঁরই বিশেষ সাহায্য ও রহমতে ইসলামী সমাজের নেতৃত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আর তখনি সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে ইসলামী সমাজ পর্যায়ক্রমে ইসলামের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবে। তাহলেই দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় শামিল

হওয়ার আহ্বান জানান। মানববন্ধন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অক্টোবর ২০২৪ ঈসায়ী মাসব্যাপী শান্তিপূর্ণ ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। (এক) ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং তিন দিনব্যাপী গাজীপুর মুক্ত মঞ্চ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ গণজাগরন যাত্রা। (দুই) ১৯ অক্টোবর ২০২৪ইং চট্টগ্রাম, ২০ অক্টোবর সিলেট, ২১ অক্টোবর রংপুর, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৩ অক্টোবর বরিশাল, ২৪ অক্টোবর কুমিল্লা এবং ২৬ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরে মানবাধিকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। এবং (তিন) ‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ আজমুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে- ১১ অক্টোবর হতে ২০ অক্টোবর ২০২৪ইং পর্যন্ত, সিলেট বিভাগ এর দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ মুরুদ্দিন সাহেবের নেতৃত্বে একটি টিম সিলেট বিভাগীয় শহরে- ১২ অক্টোবর হতে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত, রংপুর বিভাগ এর দায়িত্বশীল, সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম রংপুর বিভাগীয় শহরে- ১৩ অক্টোবর হতে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত, খুলনাবিভাগীয় অঞ্চল-১ এয় দারিত্বশীল, জনাব মুহাম্মাদ আলী জিন্নায়ু’র নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা বিভাগীয় শহরে- ১৪ অক্টোবর হতে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত, বরিশাল বিভাগ এর দায়িত্বশীল, মোঃ আবু বকর সিদ্দিকর এর নেতৃত্বে একটি টিম বরিশাল বিভাগীয় শহরে- ১৫ অক্টোবর হতে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দারিত্বশীল জনাব আমীর হোসাইন এর নেতৃত্বে একটি টিম কুমিল্লা জেলা শহরে ১৬ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এবং ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল ১- এর দায়িত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লার নেতৃত্বে একটি টিম ১৭ অক্টোবর হতে ২৬ অক্টোবর ২০২৪ইং পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিলি করবে ইনশাআল্লাহ।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, আবু বকর সিদ্দিক, আজমুল হক, সাইফুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান, সোহাগ আহমেদ প্রমুখ।

Related Articles

শিশু শ্রম নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শিশু শ্রম নিরসনে প্রয়োজন সকল মন্ত্রণালয়ের

আরও পড়ুন

জনগণকে কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মন জয় করা। এদেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ

আরও পড়ুন

বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পেশাদার মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর

আরও পড়ুন

দূষণের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান: জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

<span;>নিজস্ব প্রতিবেদক: <span;>আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট তিনটি ভিন্ন দূষণের ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে। <span;>কদমতলী ও সাভার এলাকায়

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman