Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

নার্সদের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি 

মঞ্জুর: এক দফা দাবি আদায় না হলে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ৪ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক দফা দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ও কাউন্সিলের দায়িত্বশীল পদগুলোতে থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অব্যাহতভাবে নার্স ও মিডওয়াইফদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আসছেন। এছাড়া নার্স-মিডওয়াইফরা মাঝে মাঝেই ওই কর্মকর্তাদের দ্বারা কটাক্ষের স্বীকার হন। নার্সিং বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার কারণে এই কর্মকর্তারা প্রায়ই নার্সদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অবজ্ঞা করে থাকেন।’
ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর একজন বদলি প্রার্থী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি নার্সদের পেশা এবং তাদের চাকরি সম্পর্কে কটূক্তি করেন। নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মাকসুরা নূরের এই মন্তব্যে দেশের নার্স ও মিডওয়াইফরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে সর্বস্তরের নার্স ও মিডওয়াইফদের প্রতিনিধিত্বে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ গঠন করা হয়। ওই পরিষদ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের প্রত্যাহার করে নার্স ও মিডওয়াইফদের পদায়নের লক্ষ্যে এক দফা দাবি আদায়ে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছে।’

নার্স ও মিডওয়াইফরা উল্লিখিত কর্মসূচি পালন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে যৌক্তিক এক দফা দাবি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি হলো, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্সদের মধ্য থেকে মহাপরিচালক, পরিচালক পদ ও কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদে পদায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি। এই দাবি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন না করা হলে সারা দেশে নার্স ও মিডওয়াইফরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি দিতে বাধ্য হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, ড. মো. মফিজুল্লাহ, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এবি শক্তি সহ প্রায় শতাধিক নার্স।

Related Articles

শুরু হয়েছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ এর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উদ্যোগ ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন আহ্বানের পর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার

আরও পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। <span;>শনিবার (১৭ই মে)

আরও পড়ুন

আমরা ভারতের মতো পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি(শ্যামনগর)ঃ আমরা ভারতের মতো কাউকে পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণাকে গ্রহণ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণা গ্রহণ করে ঋণগ্রহিতাকে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার রাজধানীর

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman