Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনব

মঞ্জুরঃ

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশনের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস কৃষি এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোঃ রেজাউল ইসলাম (মুকুল) লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল অবকাঠামো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪০% এর বেশি মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। অথচ প্রতি বছর ০.৭৩% হারে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় সীমিত কৃষিজমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অধিক ফলন বৃদ্ধির জন্য আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির প্রয়োগ, প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়ন, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তবে তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদ মহাপরিচালকসহ অনেক পদে এখনো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৪ঠা আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পূর্বদিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক মোঃ ছাইফুল আলম, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ খামারবাড়ির অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি চাকুরি বিধি লঙ্ঘন করে রাজ্জাক-নাসিম-ওয়াহিদা গংদের নিয়ে “শেখ হাসিনাতেই আস্থা” জানিয়ে খামারবাড়ি চত্বরে রাজনৈতিক মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অক্টোবর ২০২৪-এ মহাপরিচালকের মতো শীর্ষ পদে বসেও জনাব মোঃ ছাইফুল আলম মন্ত্রণালয়ের অনৈতিক সমর্থন ও ব্যক্তিস্বার্থে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এর পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও দখল করে রেখেছেন। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে অধিদপ্তরের প্রস্তাব ছাড়াই খেয়ালখুশিমতো কর্মকর্তাদের বদলি করে চলেছেন। এসব বদলির মাধ্যমে তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ন্যায় কৃষিবিদদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।

এহেন বাস্তবতায় খাদ্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম গতিশীল করার স্বার্থে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ ছাইফুল আলমসহ অন্যান্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ আরিফ মাহমুদ মিতু, ড. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকি, কাজী শফিকুল ইসলাম, মোঃ গোলাম মোস্তফা শিমুল, মোঃ বাছিরুল আলম, আরিফ হোসেন, এ.কে.এম হাসিবুল হাসান, বাদিরুল আলম প্রমুখ।

Related Articles

শুরু হয়েছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ এর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উদ্যোগ ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন আহ্বানের পর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার

আরও পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ : তথ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। <span;>শনিবার (১৭ই মে)

আরও পড়ুন

আমরা ভারতের মতো পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি(শ্যামনগর)ঃ আমরা ভারতের মতো কাউকে পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণাকে গ্রহণ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও’র ধারণা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকিংয়ের ধারণা গ্রহণ করে ঋণগ্রহিতাকে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার রাজধানীর

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman